মাটি মামুন রংপুর।
আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষী দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে নগরীর প্রেস ক্লাব এর সামনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন সকল শিক্ষার্থী অভিভাবক ও ৪ নং ওয়ার্ড বাসী।
এর আগে গত ২৯/০৮/২০২৩ তারিখ রংপুর নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল মধ্যে পাড়া এলাকার নুর ইসলাম বাবলুর ২য় পুত্র ফাহিম (১৮) আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নিজ ভাড়াটিয়া বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন, তখন নুর ইসলাম বাবলুর স্ত্রীর চিৎকার চেচামেচি তে আশপাশের লোকজন এসে ফাহিম কে ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে পরশুরাম থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
ফাহিম এর মা আনজু বেগম অভিযোগ করে বলেন
কুকরুল আগরর পার এলাকার পিন্টু মিয়ার মেয়ে
আওনাত এর সাথে আমার ছেলে ফাহিম এর ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো তারি কারনে আমার ছেলে কে ওরা মেরে ফেলে গলায় ফাঁস দিয়ে রেখেছে।
এর আগে কয়েক বার আমার ছেলে কে ডেকে নিয়ে গিয়ে মার ড্যাং ও করেছিলো আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রো পরশুরাম থানার এই মামলার তদন্ত অফিসার বলেছিলো মামলার তদন্ত চলছে তবে কিছু আলামতের কারনে লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম এর জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে বুঝা জাবে।
ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন প্রযন্ত কোনো আসামী ধরতে সক্ষম হয় নি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এরি ধারাবাহিকতায় আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব এর সামনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন সকল শিক্ষার্থী অভিভাবক ও ৪ নং ওয়ার্ড বাসী।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন আমরা রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা।
আপনি নিশ্চয়ই ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছেন যে, অত্র ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা এবং আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ ফাহিম আহমেদের মৃতদেহ তার নিজ বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার দিন ২৯/০৮/২০২৩ খ্রি. ফাহিম ও তার ছোট ভাইকে নিয়ে ফাহিমের মা ফাহিমের খালাবাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়।
ফাহিম একটি ফোন কল পেয়ে সেখান থেকে আগেই চলে আসে।
পরে রাত ৯টার দিকে তার মা ফিরে এসে দেখতে পায়
ফাহিম ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।
এ অবস্থায় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে।
পরবর্তীতে পরশুরাম মেট্রো থানা পুলিশ মৃতদেহটি এবং বেশকিছু আলামত উদ্ধার করে।
মৃতদেহটি উদ্ধারের সময় ঝুলন্ত অবস্থায় ফাহিমের পা মাটিতে লেগে ভাঁজ হয়েছিল।
যদি কেউ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকে তবে তার পা ভাঁজ অবস্থায় মাটিতে লেগে থাকার কথা নয়। এ থেকে আমরা সন্দেহ প্রকাশ করছি যে ফাহিমকে ফাঁকা বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আমরা এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন
এ বিষয়ে আমরা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি এবং ফাহিম
হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।