চরফ্যাশনে শশুর বাড়িতে যুবকের মৃত্যু
পিতার পরিবার বলছে হত্যা, শশুর পরিবার বলছে স্ট্রোক
ভোলা প্রতিনিধি: কামরুজ্জামান শাহীন ।
ভোলার চরফ্যাশনে শ্বশুর বাড়িতে মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত আনোয়ার হোসেনের পরিবার বলছেন শশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে ও শশুর বাড়ির লোকজন বলছেন স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে চরফ্যাশন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসক দিতে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার আনোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত আনোয়ার হোসেন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের মো. হাদর আলী ঢালীর ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, মাছের ব্যবসায় করতেন আনোয়ার হোসেন। সম্প্রতি সময়ে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় স্ত্রী রিপা বেগম তাকে ফেলে বাবার বাড়ি কুলছুম বাগ চলে যায়। কিছুদিন পরে রিপা ফুসলিয়ে আনোয়ারকে তার বাবার বাড়ি কুলছুম বাগ নিয়ে যান। পরে স্ত্রী রিপা বেগম তার বাবার বাড়িতে কর্মহীন স্বামী আনোয়ারকে ফেলে রেখে গোপনে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে আনোয়ার তার স্ত্রী রিপা বেগমকে বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিপা প্রায় সময় আনোয়ারকে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মারধর করতেন। মারধরের বিষয়টি আনোয়ার একাধিক বার ফোনে তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন। শনিবার আনোয়ারের স্ত্রী রিপা বেগমসহ তার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় কয়েকজন যুবকসহ আনোয়ারকে বেধে মারধর করেন এবং গুরুতর আহত তাকে বাড়িতে আটকিয়ে রাখেন।
নিহত আনোয়ারের বোন স্বপ্না বেগম বেগম জানান, তিনি বরিশালে শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। ভাই আনোয়ারকে মারধরের পর সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে শশুর বাড়িতে শ্বশুরের ঘরে আটক আছেন এমন খবর মুঠোফোনে তাকে জানান। ভাইয়ের অসুস্থতার খবর শুনে তিনি তার অপর এক ভাই মনির হোসেনকে নিয়ে ওই বাড়িতে যান এবং ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাইয়ের স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেন আনোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় নিহতের শশুর বাড়ির সদস্যরা বলেন, আনোয়ার হোসেন স্ট্রোক করেছেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা করা হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতারে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট এলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে।