ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে নন্দয়ার ইউনিয়নের ৩ নং- ওয়ার্ডের ভন্ডগ্রাম নামটি পরিবর্তন চান এলাকাবাসী ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের ৩ নং- ওয়ার্ডের একটি গ্রামের নাম ভন্ডগ্রাম । গ্রামটিতে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় , কমিউনিটি ক্লিনিক, সুজলা -সুফলা ফসলের মাঠ আর চারপাশ সবুজের সমারোহ। সকাল বেলা গবাদিপশু সহ কৃষক- কৃষাণীর মাঠে বেড়িয়ে যাওয়ার, শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা – যাওয়া তপ্ত দুপুরে বয়ে যাওয়া ছোট নদীতে কিশোরীদের গোসল আর বিকালে গ্রামে বসা হাটে চলে কেনা বেচা । একটি আদর্শ গ্রামের যা বৈশিষ্ট্য তার সবকিছুর যেন উদাহরণ গ্রামটি । গ্রামটির নাম ভন্ডগ্রাম। এ নামেই রয়েছে স্কুল,হাট-বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। নিজের গ্রামের নাম বললেই হাসিঠাট্টা, কটাক্ষ ও বিদ্রুপের শিকার হতে হয় গ্রামবাসীকে৷ এমন কটাক্ষ থেকে বাদ পড়েনা স্কুলের শিক্ষার্থীরাও৷ গ্রামটির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর৷ নাম দিয়ে নয়, কাজে আসল পরিচয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে নামেও অনেক কিছুর অর্থ বহন করে। এমন একটি নামের অর্থে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত, বিবাহবন্ধন কিংবা সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে নামটি বললেই নানা বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়৷ এমনি একটি গ্রামের নাম ভন্ডগ্রাম। তবে গ্রামটির নাম নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। নিজের নাম বা পেশার পরে গ্রামের নাম বললেই কটাক্ষ আর উপহাসের সম্মুখীন হতে হয় এলাকাবাসীকে৷ গ্রামের নাম বললেই ‘ভন্ড’ বলে সম্বোধন করে বসেন অনেকে। যদিও কি কারনে এর নাম ভন্ডগ্রাম হল তা জানেননা এলাকার কেউও৷ গ্রামের এমন নাম প্রভাব ফেলছে পড়াশোনা, চাকুরী, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ সব ক্ষেত্রে। নামটি বদলে দিয়ে নতুন কোন নাম হলে এমন বিড়ম্বনা থেকে বাঁচবে এলাকার মানুষ।
পড়াশোনা ও চাকুরী ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় দিলে উপহাস করেন সহপাঠী আর সহকর্মীরা। নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম শুনলেই দৃষ্টিকটু চোখে সম্বোধন করেন সকলে। আর এর প্রভাব ফেলে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার ক্ষেত্রে। তাই স্কুল ও গ্রামের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়ার আহবান স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। বিপাকে পড়তে হয় নিজের জন্মস্থানের নাম বলতে। আর কেনও ভন্ডগ্রাম নাম হল তা জানেননা এলাকার কেউও। অনেকের ধারণা বিট্রিশ আমলের আগে থেকে এ নাম হয়ে আসছে। এখন গ্রামের নামে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গ্রামের সকল মানুষকে। নামটি বদলে গেলে জন্মস্থানের পরিচয় দিতে সম্মানিত বোধ হবে বলে জানান, এলাকার মানুষ।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, ভন্ডগ্রাম নামটিতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে গ্রামটিতে৷ দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় গুলোর নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনে কাজ করছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন৷ যদি এটি জটিল প্রক্রিয়া তবে গ্রামের নাম পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবেন।