স্মৃতি যেনো ইতি নয়
রেহেনা খাতুন
আমার প্রাথমিকের প্রথম দিনের স্মৃতি
বাবার আদর, মায়ের চুমু তবুও কত ভীতি!
আমার খেলার সময় বিদ্যালয়ে যাবে!
এমন সুখের জীবন কি আর কেও কোনোদিন পাবে?
আমার বাবা বলেন মস্ত বড় হবো,
পড়ার সময় খেললে নাকি আস্ত বোকা রবো।
আমার বায়না হতো স্কুলে যাবো না বলে
বকার শেষে মায়র আদর, বায়না যেতাম ভুলে।
স্কুলে আমার বন্ধু ছিলো পাড়ার চেয়ে বেশি
আমার চোখে আজও ভাসে প্রিয় স্যারের হাসি।
স্কুলও যেন খেলারই স্থান এই বুঝেছি যেদিন
স্কুলের জন্য মায়ের রোদন থেমেছিল সেদিন।
আমার শিক্ষকেরা এমন মায়া কেমন করে পোষে?
ভালোবাসার এমন দান বুঝি অবশেষে।
জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত সকল শিশুর মুখ
তৃপ্ত করে হৃদয় তাদের বাড়ায় সুষম সুখ।
আমার স্কুলের পাশে আয়মন নদী
পাঁচটি বছর আমার সাথেই বইলো নিরবধি।
আমি কত ঝাপ দিয়েছি সেদিন নদীর জলে
শৈশবের সেই স্মৃতি আমায় আবার নাইতে বলে।
চাওয়া-পাওয়ার হিসেব তখন বড়ই অল্প ছিলো
পাওয়ার সুখই বেশি, কত কি না চাইতেই এলো।
আমার পাঁচটি বছর কেমন করে গেলো?
বড় হওয়ার সুখ কি আমার শৈশব কেড়ে নিলো?
আমি আমার স্কুলটিকে আজও ভালোবাসি
ভালোবাসি শিক্ষক আর সহপাঠীর হাসি।
ভালোলাগে ভাবতে যখন ভীষণ থাকি একা
প্রথম স্কুলের প্রথম স্মৃতি প্রথম শব্দ শেখা।