রংপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন।
মাটি মামুন রংপুর।
রংপুরের পীরগাছায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
একই সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হলেও অন্যদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম অপু (৩৪) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার ধীরগঞ্জহাট রহমতপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের মেয়ে সাগরী বেগমের (২১) সঙ্গে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দি কাবিলাপাড়া গ্রামের ওয়াহেদ মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম অপুর বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় আজিম উদ্দিন তার মেয়ের সুখের জন্য যৌতুক হিসেবে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেন।
কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর রফিকুল আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সাগরীকে চাপ দিতে থাকেন।
সাগরী এতে রাজি না হলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
এ অবস্থায় রফিকুল ইসলাম অপুর সঙ্গে তার ভাবির পরকীয়া সম্পর্ক হাতেনাতে ধরে ফেলেন সাগরী।
এ ঘটনায় সাগরীকে একবার হত্যা চেষ্টা করা হয়।
পরে ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় সাগরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম অপু এবং তার মা, বাবা, ভাই ও ভাবিসহ ছয়জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রায় পাঁচ বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, স্বামীর পরকীয়া ও যৌতুকের বলি হয়েছেন সাগরী বেগম।
দীর্ঘদিন বিচারকাজ চলার পর স্বামী রফিকুল ইসলাম অপুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।