মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহর মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার কথা বলে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি),ছবি,মোবাইল নাম্বার ও স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় উপকারভোগী রোজিনা আক্তার বলেন,রশিদ মেম্বার দীর্ঘদিন যাবৎ আমার আইডি কার্ড,ছবি ও কিছু টাকা নিছে এখন পর্যন্ত আমার ভিজিডি কার্ডও হয় নাই,টাকা গুলোও দেয় না।আরেক ভূক্তভোগী আফরোজা বেগম জানায়,আমি বিধবা হয়েছি অন্তত ১৫ বছর কিন্তু কেউ আমাকে কোন সুবিধা দেয় নাই।অত্র ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার জামাল উদ্দিন বাদশা ভোটে পাশ করার পর রশিদ মেম্বার বললো আমাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দিবে, আইডি কার্ডও দিলাম এখন আর খবর নাই!অপর ভুক্তভোগী
হাজেরা আক্তার বলেন, আমাদের এলাকা থেকে অনেকের আইডি কার্ড নিছে আল্লাহ জানে কি করবে? রশিদ মেম্বার আমার চাচীকে বয়স্ক ভাতা করে দিবে বলে ৫ বছর যাবৎ ঘুরাইতাছে,মরলে মনে হয় কার্ড করে দিবে!সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে জানা যায়,সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দরবার করে আর্থিক সুবিধালাভ তার পুরোনো অভ্যাস।ইউনিয়নের একাধিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি জানান তার চ্যানেল অনেক লম্বা,তাকে কিছু বললে আমাদের এলাকা ছাড়া করবে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রশিদ মেম্বারের এক নাতি বলেন, আমি অনেক কিছু বলতে চাই কিন্ত পরে আমারে দাওগাঁও ছাড়া করবে তাই কিছু বললাম না। টাকা নিয়ে কার্ড দেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে রশিদ মেম্বার বিষয়টি অস্বীকার করেন।তিনি বলেন আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য এসব বলা হচ্ছে। আমি কার্ড তুলছি সঠিক,কিন্ত কোন ভাতার জন্য নয় এটা অন্য কারনে।একই বিষয়ে একই উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তারাকান্দি গ্রামের মোঃ সাইদুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে একাধিক ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওযায় চেষ্টা করেন এবং বলেন এনআইডি কার্ড নেওয়া হয়েছে সঠিক, কিন্ত ভাতা সংক্রান্ত কোন কার্ড দেওয়ার কথা বলা হয় নাই।তারা আরও বলেন আমাদের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ পাইলে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান বলেন,অভিযোগ পেলে স্থানীয় সরকার আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।