মোঃ মজিবর রহমান শেখ, বাংলাদেশের পুলিশ সম্পর্কে সমাজে রয়েছে নেতিবাচক মনোভাব। আর তাই কোন পুলিশ মানবিক এটা শুনতে গল্পের মতোই মনে হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাঠক, নিপিড়ীত মানুষের বন্ধু , আর মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, বাটপার, চিটার , দালাল, এইসব শ্রেণির শত্রু। ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে ইতোমধ্যেই তিনি মানবিক পুলিশ সুপার নামে সুপরিচিত। এই মানুষটির দরজা গরীব, দুঃখী, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য রাত-দিন ২৪ঘন্টা খোলা থাকে। কারোর টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; এই খবরটা এসপি মহোদয় পর্যন্ত গেলে; তিনি নিজ উদ্যোগে সেই ছাত্রের ব্যয়ভার বহন করেন।কারোর মেয়ের বিয়ে আটকে আছে অর্থাভাবে; সেখানেও এসপি মহোদয় হাত বাড়িয়ে দেন সাহায্যের। এই মানুষটির মানবিকতা সম্পর্কে বলতে শুরু করলে দিস্তা দিস্তা কাগজ শেষ হয়ে যাবে। ঠাকুরগাঁও জেলা বাসির নিকট এসপি উত্তম কুমার পাঠক একজন মহানায়ক। এই মানুষটির নিকট যেতে বা তার সাথে কথা বলতে কখনো অগ্রীম অনুমতির দরকার হয় না। তিনি ২৪টা ঘন্টা মানুষের জন্য কাজ করেন। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কলিজা হয় ১৮হাত লম্বা।কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার এমনই একজন বিশাল কলিজার অধিকারী। তার সম্পর্কে যা বলবো ;সেটাই কম বলা হবে।কিছু মানুষের কাজই তাঁর স্বীয় পরিচয়। এসপি উত্তম কুমার পাঠক নিজের কর্মদক্ষতা,মানবিকতা, উদার ব্যাক্তিত্ব, দানশীলতা, ন্যয়পরায়ণতা এবং বিচক্ষণতা দিয়ে জয় করে নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা বাসির হৃদয়।
পরিশেষে একটা কথায় শুধু বলবো আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাঠক ২৪ঘন্টা অতন্দ্র প্রহরীর মতো জেগে থাকেন বলেই ; ঠাকুরগাঁও জেলা বাসী শান্তিতে ঘুমাতে পারেন। বাংলাদেশে উত্তম কুমার পাঠকের মত এসপি আরও দরকার; তাহলে বাংলাদেশ হতে পারতো শান্তির স্বর্গরাজ্য। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রিয় এসপি মহোদয়কে দীর্ঘায়ু দান করুন এই প্রার্থনা করি।