কুড়িগ্রামে ব্রিজ না থাকায় জনদূর্ভোগের চরম সীমায় স্থানীয় কয়েকহাজার মানুষ।
আতিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ২ নং রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় ফুলকুমার নদীর উপর অবস্থিত কাঠ ও বাসে দিয়ে তৈরী ব্রিজ । প্রত্যেক বছর এই ব্রিজটি কাঠ দিয়ে স্থানীয়রা তৈরী করেন। প্রত্যেক বছর বন্যা হয়ে কচুরি পানার চাপে ভেঙ্গে যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় এখানে কয়েক বছর আগে কিছু লোক আসে মাপা মাপি করে গেলেও
আজ অবধি কাজের কোনো সাড়া নেই।
এলাকাবাসী বলছে তারা এই বিজ্রের জন্য অনেক বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার ধরনা দিয়ে প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।
প্রতি বছর ব্রিজ ভাঙ্গার পর ২-৩ তিন মাস লাগে বাশ দিয়ে তৈরি করতে।স্থানীয় এলাকাবাসী এই ব্রিজের জন্য তারা বাঁশ কালেকশন করে প্রতিবারই মেরামত করে থাকে।
এতে চলাচলের চরম ভুগান্তির শিকার হতে হয় স্কুল, মাদরাসার ছাত্র ছাত্রী সহ কয়েকহাজার মানুষের।
ব্রিজের ওপারে ২টি বিদ্যালয় ২টি মাদরাসা ও বাজার আছে বিধায় ছোট ছোট যানচলাচল সহ মানুষের হরদম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পানি সয়লাব হলে ব্রিজ দিয়ে পারাপার অনুপযোগি
হওয়ায় স্কুল, মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ২, ৩ মাস উপস্থিত হতে পারে না ফলে লেখাপড়ার চরম অবনতি ঘটেছে। স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকদের দাবী সরকারের উদ্যোগে ব্রিজটি অতি তাড়াতাড়ি করলে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।