ময়মনসিংহ -৫ আসনে আব্দুল হাই কে পেয়ে আনন্দে ভাসছে মুক্তাগাছা
মোঃ শাহীন আলম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (ময়মনসিংহ -৫) আসন-১৫০ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কে পেয়ে মুক্তাগাছাবাসী উচ্ছ্বাসিত।মুক্তাগাছাবাসী আব্দুল হাইকে স্বাগত জানিয়েছে।মুক্তাগাছাবাসী আব্দুল হাইকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেয়ে আনন্দিত।আব্দুল হাইকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তাগাছা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃীবৃন্দ।এটা ৬২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আব্দুল হাই এর বড় পাওয়া,, এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। ১৯৬৫ সাল থেকে যার অর্জন ১৯৬৫ সালে প্রাথমিক সদস্য,মুক্তাগাছা থানা ছাত্রলীগ। ১৯৬৯ সালে সাধারণ সম্পাদক, মুক্তাগাছা থানা ছাত্রলীগ, উনসত্তোরের গণঅভ্যুত্থানের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব দানকারী তুখোর ছাত্রনেতা। ১৯৭০ এর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ ।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের মেঘালয়ের তুর ট্রেইনিং ক্যাম্পের প্রথম ব্যাচে ট্রেইনিং সমাপ্ত করে, তারা কম্পানির অধীনে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে সরাসরি রণাঙ্গনে প্রবেশ।
১৯৭২ সালে মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ প্যানেলর জিএস প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। (১৯৭২-৭৩,১৯৭৩-৭৪)
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হলে ৩ মাস পলাতক থেকে নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ মুক্তাগাছা পৌরসভা প্রাঙ্গনে জাতির জনক, তার পরিবার এবং জাতীয় ৪ নেতার গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে মুক্তাগাছার রাজপথ প্রদক্ষিণ করেন তিনি । সেই প্রতিকূল পরিবেশে ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।
১৯৮০ সালে মুক্তাগাছা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। (কাউন্সিলের মাধ্যমে)
১৯৮১ সালে গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ দিবসে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী সহ যোগদান করেন আনন্দ যাত্রায়।
১/১১ - এক/ এগারোর স্বৈরাচারী সেনা শ্বাসিত সরকারের কবল থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারা মুক্তির জন্য মুক্তাগাছায় একমাত্র নেতা, যিনি রাজপথে স্থানীয় কর্মীদের সংগঠিত করে নেত্রীর মুক্তির জন্য নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন করেন এবং স্থানীয় জনগণের ঘরবাড়ি,জানমালের হেফাজত করেন যা মুক্তাগাছার মানুষ এখনও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে। ১৯৮০-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মুক্তাগাছা থানা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।( ৩ বার)
বিবিধ, ১৯৯৮ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধীবেশনে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্যার সভাপতি /আব্দুল হাই আকন্দ (মতি/ হাই) প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, কয়েক ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।
১৯৮০-১৯৯৮ সহ বিভিন্ন মেয়াদে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জনপ্রতিনিধি হিসেবে অভিজ্ঞতা
১৯৯৩-১৯৯৯ মুক্তাগাছা পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
২০১১-২০১৬ পূণরায় নির্বাচিত মেয়র, মুক্তাগাছা পৌরসভা।
২০১৯-২০২৪ উপজেলা চেয়ারম্যান,
মুক্তাগাছা,ময়মনসিংহ।
পরিশেষে একটি কথা, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ একটি হাজার পাতার ইতিহাস। আব্দুল হাই স্বাগত বক্তব্যে বলেছেন মুক্তাগাছাবাসীকে নতুন ধারার এক মুক্তাগাছা উপহার দিবো।সেজন্য মুক্তাগাছাবাসীকে নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করতে হবে।তিনি আরো বলেন উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।