ঢাকায় জাতীয় পেনশন স্কিম বিষয়ক সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিনিধি :
বাংলাদেশে সার্বজনীন জাতীয় পেনশন স্কিম দেশের এনজিও এবং এমএফআই গুলির মাধ্যমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ফসিউল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জাতীয় সার্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ ও সচিব অর্থ বিভাগ ডক্টর মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ কবিরুল ইজদানী খান সার্বজনীন জাতীয় পেনশন স্কিম বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের আর্থিকভাবে নিরাপত্তা দিয়ে স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট দেশে রুপান্তর করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার সকল প্রকার উপযোগিতা ইতোমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। দেশের উন্নয়ন বান্ধব সরকার এ লক্ষ্যে তাদের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন, যার মধ্যে একটি হলো জাতীয় পেনশন স্কিম। বাংলাদেশে এনজিও এবং এমএফআই-রাই দেশের চারকোটি পরিবারকে এই স্কিমভুক্ত করতে সক্ষম। বেসরকারি চাকুরীজীবিদের জন্য প্রগতি ও ক্লাইন্ট বরোয়ারদের জন্য সমতা নামক স্কিম ফলপ্রসূ হবে। অনুষ্ঠানে এনজিও-এমএফআই এর প্রধান নির্বাহী হিসাবে বগুড়ার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষা সম্প্রসারণের কিংবদন্তির নায়ক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডক্টর হোসনে আরা বেগম এ বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের এনজিও গুলির জনবলগণকে এ প্রকল্পে কাজে লাগিয়ে কৃষি ঋণ, সরকারি প্রণোদনা ঋণ ব্যবহার করে অধিক উৎপাদন ও বেকারত্ব দূর করলে জাতীয় শৃঙ্খলা ও দেশে পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। তাই তিনি সরকারকে দেশের এনজিওদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। দেশে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে আমদানি থেরাপি না দিয়ে অনুশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা আবশ্যক। বিশেষ করে বিদেশি ফল ও প্যাকেটজাত দুধ আমদানি বন্ধ কিংবা হ্রাস করে জাতীয় গ্রোস উৎপাদন বৃদ্ধি করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন রূপকল্প বাস্তবায়ন করা সহজ হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
,