ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৭ জানুয়ারি নৌকার বিজয় নিশ্চিত করুন --রমেশ চন্দ্র সেন,
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের নৌকার মার্কার প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, এবারের সরকারের মূল লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষকে প্রতিষ্ঠা করা, বেকার সমস্যা সমাধান করা। এটা করতে পারলে বাংলদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ করতে হলে আপনাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। আপনাদের কায়িক পরিশ্রম আরও বাড়াতে হবে। ঠাকুরগাঁওয়ে যেগুলো মেগা প্রকল্প বাকী রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে সে সুযোগটুকু দিবেন। আমরা ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছি। প্রত্যেকে ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে যাবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের আখানগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করতে যে পরিমান কষ্ট হয়েছে, তার চেয়ে কষ্ট সাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে স্বাধীনতা রক্ষা করা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তার ৭ মার্চের ভাষনের মাধ্যমে দেশটাকে সোনার বাংলায় রুপান্তরের জন্য আমরা কাজ করে চলেছি। প্রত্যেকটি পরিবারকে আমাদেরকে চাকুরী দিতে হবে, চাকুরী নিতে হলে সকললে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে কয়েকটি প্রকল্পের কথা বলে গেছেন, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। আজকে সার-ডিজেল যদি সরকার সুলভ মুল্যে দিতে না পারতো, তাহলে অকান্ত পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করতে পারতাম না। এর আগে বিএনপি সরকার আসে আপনাদের কি দিয়ে গেছে। কোন কিছুই দিতে পারেনি, বিমান বন্দরটিও চালু করতে পারেনি। ওই সময়ে খাদ্যের কত ঘাটতি ছিল, অভাব অনটন কত ছিল। সার-বিদ্যুৎ নিতে গিয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। ২০০৮ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন কত লোক মারা গেছে বলেন, কেউ বলতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষকে দেওয়ার চেস্টা করেছি। সিডর-আইলা ১৪৯ টির মত বাঁধ ভেঙ্গে গেছিল, তখন আমি পানি সম্পদ মন্ত্রণায়ের মন্ত্রি থাকার পর সেগুলো আমি রিকোভারী করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী চায় মানুষের কল্যাণ। যারা বাড়িতে বসে আছে, চাকুরী পায় না। আসলে ১০টি চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে দরখাস্ত করছে ১০ হাজার। তাই মেধাবী ছাড়া কাউকে চাকুরী দেওয়ার সুযোগ হয় না। এখানে ইপিজেড চালু হলে প্রত্যেকটি পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। বেকার যুবক-যুবতীদের চাকুরীর মাধ্যমে আমাদের টার্গেট হলো বেকারত্ব দূর করা। যে সমস্ত প্রকল্প বাকী আছে সেগুলো চালু করাই আমাদের লক্ষ্য। যদি আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয় তাহলে আমরা কথা দিয়ে যেতে পারি সকল কাজগুলো বাস্তবায়ন করার। আজকে আপনারা ভোট দেন, প্রধানমন্ত্রীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করেন এটাই কামনা। নিজের ছেলে মেয়েদের মানুষের মত মানুষ করার চেষ্টা করবেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হচ্ছে। চিলারং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ঋষিকেশ রায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আসম গোলাম ফারুক রুবেল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, জেলা আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবাশীষ দত্ত সমীর, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: নাজমুল হুদা শাহ্ এ্যাপোলো, চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফজলুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব আলী প্রমুখ।