সার্জেন্ট আরিফ উদ্দিনের তড়িৎ পদক্ষেপে মানষিক ভারসাম্যহীন রুপসী নাইমা নূরানী ফিরে পেলো তার অভিভাককে!
মোঃ খাইরুজ্জামান সজিব
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা মহানগর কলেজ পড়ুয়া নাইমা নূরানী মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে তার বাসায় অবস্থান করেছিল। গত দু’দিন আগে হঠাৎ বাসা হতে উদাও নূরানী। হঠাৎ তার বাবার মোবাইলে ফোন। আপনি কি নূরানীর বাবা? আমি বরিশাল হতে বলছি। আপনার মেয়েকে বরিশালে পাওয়া গিয়েছে। তাকে একজন ছেলে এখানে ঘোরা ফেরা করতে দেখে নূরানীর কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে আপনাকে কল করছি। নূরানীকে ঢাকাগামী বাসে উঠিয়ে দিয়েছি।
বাসা হাতে বের হয়ে যাওয়া নূরানীর খবর জানতে পেরে অস্থির বাবা মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য বরিশাল হতে ঢাকাগামী প্রতিটি বাস স্টপেজে পাগলের মতো খুজতে থাকে। একবার পোস্তগোলা’তো একবার জুরাই’তো একবার যাত্রাবাড়ী। কিন্তু মেয়েকে আর পাচ্ছিলনা। অস্থির বাবা!
আজকে (২ জানুঃ ২০২৪) জুরাইন টাওয়ারের সামনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক ওয়ারী জোনের সার্জেন্ট আরিফ উদ্দিন তালুকদার। দুপুর ঠিক ১২:৩০ ঘটিকায় লক্ষ্য করলের তার ডিউটির স্থল হতে সামন্য দূরে কিছু লোকের জটলা। তিনি স্থির ভাবে লক্ষ্য করলেন একটি উবর্শী মেয়েকে নিয়ে জটলা। ধীরস্থির ভাবে এগিয়ে গেলেন সামনে। লক্ষ্য করলে কিছু সিএনজি চালক,পাঠাও চালক ও বখাটে পোলাপান নূরানীকে নিয়ে হাসি তামাস ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করছে।
নূরানী বার বার বলতে চেষ্টা করছে আমি বাসায় যাবো, কিন্তু আমার নিকট ভাড়া নাই। নুরানী যে, মানসিক ভারসাম্যহীন বিষয়টি তারা বুঝতে চাইছেনা। ঠিক এ মূহুর্তে এগিয়ে গেলেন সার্জেন্ট আরিফ। তিনি বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে সামনে এগিয়ে গেলেই উপস্থিত চালক ও বখাটেরা কেটে পরে।
তৎক্ষনাৎ সার্জেন্ট আরিফ নূরানীকে হেফাজতে নিয়ে নেন এবং তার মানসিক অবস্থা বুঝতে চেষ্টা করেন। ধীরে ধীরে তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্ঠা করেন । এক পর্যায়ে নূরানী সাদা কাগজে তার শিক্ষা, কলেজ, বাসার অবস্থান ও তার বাবার মোবাইল নাম্বার লিখে দেন সার্জেন্ট আরিফকে। আরিফ কাল বিলম্ব না করে তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিক করেন এবং তার বাবার সাথে যোগাযোগ করে কোথায় আসতে হবে মোবাইলে জানান নূরানীরত বাবাকে।
কিছুক্ষন পর পাগলের ন্যায় বাবা ছুটে আসলেন জুরাই ট্রাফিক পুলিশ বক্সে। নূরানীকে দেখে বাবা আর স্থির থাকতে পারলেন না।হাউমাউ করে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন। নূরানী বাবার সূুত্রে জানা যায় নূরানী গত ০২ দিন আগে বাসা হতে নিখোঁজ রয়েছে। অবশেষে যাবতীয় আইনী কার্যক্রম শেষে শ্যামপুর থানার মাধ্যমে নূরানীকে তার বাবার হেফাজতে দেয়া হয়।
পুলিশ সত্যিকার অর্থেই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। ধন্যবাদ সার্জেন্ট আরিফ।