রংপুর মেডিকেলে তথ্য জানতে চাওয়ায় চিকিৎসকের দুর্ব্যবহার।
মাটি মামুন রংপুর।
আগুনে দগ্ধ রোগীর তথ্য জানতে চাওয়ায় এক
সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন রংপুর
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের
চিকিৎসক জিয়াউর রহমান।
একই সঙ্গে তিনি আর সাংবাদিকদের চিকিৎসা করবেন না বলেও জানান।
তাঁর এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন
গণমাধ্যমকর্মীরা।
একই সঙ্গে বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুর্ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টার ঘণ্টার সময়।
এখন থেকে কো বেঁধে দিয়েছেন তারা। অন্যথায় বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।
গত রোববার ১৪ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সাংবাদিক নজরুল
মৃধার সঙ্গে মোবাইল ফোনে এমন দুর্ব্যবহার করেন
ডা. জিয়া।
শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীত থেকে বাঁচতে আগুন
পোহানোর সময় দগ্ধ হয়ে অন্তত ৪৪ জন ভর্তি
হয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে ওই সাংবাদিক ফোন
করেছিলেন।
এদিকে, বিষয়টি নজরুল মৃধা অন্য সাংবাদিক
নেতাদের জানালে তারা ডা. জিয়ার সঙ্গে মোবাইল
ফোনে কথা বলেন।
একুশে টেলিভিশনের রংপুর প্রধান ও রংপুর সাংবাদিক সমাজের আহ্বায়ক লিয়াকত আলী বাদল ডা. জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি জানান, এ সময় তাঁর সঙ্গেও চরম
দুর্ব্যবহার এবং অশালীন কথাবার্তা বলেন ডা.রংপুরে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাংবাদিকদের জিয়া।
বিষয়টি নিয়ে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক
মেরিনা লাভলি ও সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি
স্বপন চৌধুরী জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে
পারেননি।
উল্টো স্বপন চৌধুরীকে তিনি বলেন, সাংবাদিকের চিকিৎসা তিনি করবেন না।
তাঁর এমন কথায় রংপুরের সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জিয়া দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা না চাইলে মানববন্ধনসহ বৃহত্তর বর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান সাংবাদিক নেতারা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা.
ইউনুস আলী বলেন, ‘আমি ঢাকায় রয়েছি।
বিষয়টি রংপুরে গিয়ে দেখব।
ডা. জিয়ার এমন ব্যবহারে প্রেস ক্লাবের
সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলি, সিটি প্রেস
ক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, রিপোর্টাস ক্লাব
রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লুলু,
রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক
সরকার মাজাহার মান্নান, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের
সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজু বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের মাটি মামুন সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।