ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম বারের রঙিন বাঁধাকপি চাষ !
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রথম বারের মতো রঙিন জাতের বাঁধাকপি রুবি -কিং চাষ শুরু হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলায়। দেখতে রঙিন সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাদ হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষণায় দেখা গেছে এই কপি ভিটামিন এ, সি, ও কে, সমৃদ্ধ, রঙিন শাকসবজিতে সবুজগুলোর তুলনায় ভিটামিন বেশি থাকে, এই কপিতে চর্বি নেই বললেই চলে, পাশাপাশি এই কপি আলসার ও ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। ফলে এটি খাওয়া মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। স্বাভাবিক পরিবেশে কয়েক দিন সংরক্ষণ করা যায়। বাজারে এই রঙিন বাঁধাকপির চাহিদাও বেশি। যা সাধারণ কপির চেয়ে অনেক বেশি লাভ। দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দ্বিগুণ লাভের আশায় প্রত্যন্ত গ্রামে এই রঙিন বাঁধাকপি চাষ শুরু করেছেন রানিশংকৈল উপজেলার কৃষক আইনুল হক, তার ২০ শতাংশ জমিতে এবার ভিন্ন কিছু চাষ করার ভাবনা থেকে লাল বাঁধাকপি রুবি কিং চাষ করেছেন। রঙিন লাল বাঁধাকপি দেখতে সুন্দর। ভিতরে টুকটুকে লাল ও স্বাদে কিছুটা মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। ব্যাপক লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি। লাল বাঁধাকপি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। ৮০-৯০ দিনে কপিগুলো পরিপক্ব হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়। রানীশংকৈল উপজেলার হোসেগঁ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা একরামুল করিম বলেন, রানীশংকৈল উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। অন্য কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রানিশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম , সাংবাদিককে বলেন, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে প্রথম বারের মতো রঙিন জাতের বাঁধাকপি রুবি -কিং চাষ হচ্ছে । এ বছর আমাদের রানীশংকৈল উপজেলায় মোট এক একর জমিতে এই রঙিন বাঁধাকপি চাষ হয়েছে । এই কপি ভিটাকমিন এ, সি, ও কে, সমৃদ্ধ, রঙিন শাকসবজিতে সবুজগুলোর তুলনায় ভিটামিন বেশি থাকে,পাশাপাশি এই কপি আলসার ও ক্যানসার প্রতিরোধী। আগামীতে এ রানীশংকৈল উপজেলায় এর চাষ বাড়বে বলে, তিনি আশা করছেন।