রংপুরে ভয়ংকর হতে চলছে কিশোর গ্যাং
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব।
বিশেষ প্রতিনিধি।
রংপুর নগরীর, ধাপ কটকি পাড়া,পাসাড়ী পাড়া,
খলিফা পাড়া,জুড়ে চলছে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ব রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে
কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে।
মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
কিশোরকে আসামি করা হয়েছে নানা অপরাধে জড়িয়ে
কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।
অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মদদ দিচ্ছে।
হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
কিশোর গ্যাং সদস্যদের তৎপরতা রোধে শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে।
আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেমেরবিরোধ
মাদকসহ নানা অপরাধে কিশোররা খুনাখুনিতে জড়িয়ে
পড়ছে।
রংপুরে বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় বড় ভাই’রা।
আন্ডারওয়ার্ল্ডের ঘুনাখুনিতে কিশোর ও তরুণদের ব্যবহার করার ঘটনাও ঘটেছে।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়
কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে।
র্যাবের প্রতিবেদনে অর্ধশত কিশোর গ্যাং সক্রিয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরে শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়।
ধারাবাহিকতায় রংপুর নগরীর ধাপ কটকি পাড়া, পাসাড়ী পাড়া,খলিফা পাড়া,জুড়ে চলছে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ব রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে।
এলাকায় প্রায় অর্ধশত কিশোর গ্যাং সক্রিয়।
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুনাখুনি,মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে কটকি এলাকার কিশোর
গ্যাংয়ের সদস্যরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ভয়ংকর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের
সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে নতুন বছরের শুরুতে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
এরই মধ্যে রংপুরের পাড়ামহল্লার কিশোর গ্যাংয়ের
তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ
(ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তালিকা ধরে র্যাবও অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ আলম বলেন,কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
অতীতে এ বিষয়ে অনেক অভিযান চালানো হয়েছে। সম্প্রতি র্যাবের পক্ষ থেকে অনেক কাজ করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সংখ্যা, নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে।
হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালানো হবে।
এই কিশোর গ্যাংএর অন্যতমো সদস্য জাহিদ হাসান (জনি ২৪)
পিতা- মাহাফুজার রহমান, মাতা হাসিনা বেগম জোছনা।
তার নামে রয়েছে জালাও পোড়া নারী শিশু, অস্ত্র চোরা চালান, ছিনতাই সহ প্রায় ১২
থেক ১৫ টি মামলা রয়েছে, জার জি আর নং-
৫৫০/১৪ জি আর নং ১৭৯/১৪ জি আর নং
১৮২/১২ জি আর নং ১৪৯/১৪-/ ১৪৩/৩৪২, ৩২৩/৩২৫, ৩২৬/৩০৭, ৩৭৯/৩০৭, ৩৭৯/৪২০, ৫০৬/১১৪/৩৪, তার নামে চলমান থাকার
পরও সে কোনো অদৃশ্য শক্তির কারে দাপটে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা ও ধাপ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহামুদুল হাসান এই কিশোর গ্যাং এর সব কিছু জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তবে স্থানীয় সূত্র বলছে জাহিদ হাসান (জনি) রংপুরে কিছু হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় চলছে।
স্থানীয়রা বলছেন এই কিশোর গ্যাং এর যদি ব্যবস্থা নেয়া না হয় আগামীতে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি কামনা করছেন সুশীল সমাজ।