ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে বিয়ের দাবিতে ভাগিনার বাড়িতে মামি !
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বিয়ের দাবি নিয়ে ১৮ বছর বয়সী ভাগিনার বাড়িতে তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন এক নারী (৩০)। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত সেই নারী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের রাধাপাড়া এলাকায় ভাগিনা রুবেলের বাড়িতে রয়েছেন।
রুবেল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের রাধাপাড়া গ্রামের ইসরাইল হকের ছেলে। ঐ নারী সম্পর্কে তার মামি হন। ২ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় মামার সঙ্গে বে-সরকারি এক কোম্পানিতে চাকরি করতেন রুবেল। ছুটিতে নিজ বাড়ির চেয়ে মামার বাড়িতে যাতায়াত ছিল বেশি। ৩ বছর আগে মামিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। প্রথমে রাজি না হলেও কয়েকদিন পর দুজনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে ভাগিনার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক চালিয়ে আসছেন মামি। মামি-ভাগিনা হওয়ায় প্রথমে সন্দেহ করেনি কেউ। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতে মামির ঘরে রুবেল অসামাজিক কার্যকলাপের সময় আটক করে স্বজনরা। মারধর করে পরে আর সম্পর্ক না রাখার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর পুনরায় শুরু হয় তাদের সম্পর্ক। ভাগিনাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করে মামি। সেটি করতে ব্যর্থ হয়ে রোববার সন্ধ্যায় ভাগিনার বাড়িতে উঠেছেন মামি। ঐ গৃহবধূ জানান, ভাগিনার সঙ্গে তিন বছর ধরে সবধরনের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তাদের এ সম্পর্কের কথা এখন সবাই জানে। তাই তিনি ভাগিনাকে বিয়ে করবেন না হলে আত্মহত্যা করবেন। ২ সন্তান আগের স্বামীর বাড়িতেই রেখে এসেছেন তিনি। গৃহবধূর স্বামী বলেন, রুবেল আমার নিজের বোনের ছেলে। এত কিছু করার পরও শেফালিকে বাড়িতে চলে আসতে বলেছি। এরপরেও আসেনি। এমন কর্মকাণ্ডে সমাজে মুখ দেখানো মুশকিল হয়ে গেছে। রুবেলের মা বলেন, ভাইয়ের বউকে এখন বউমা হিসেবে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ছেলের সঙ্গে ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে দেওয়ার কথাই ভাবছেন তিনি। তবে রুবেলের বাবা ইসরাইল হককে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী রুবেল বলেন, ঘটনা নিয়ে ২ পরিবারের মাথা গরম। তাই একটু সময় নিয়ে সন্ধ্যায় বসার কথা রয়েছে। মামি-ভাগিনা মিলে ভুল করতে পারে। এটা সমাধান করে দিতে হবে। নাহলে বাচ্চা দুটোর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।