ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মস্থলে না থাকায়, চিকিৎসক-নার্সদের বেতন ভাতা বন্ধ রাখতে বললেন-- সুজন এমপি ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
কর্মস্থল বাদ দিয়ে ডেপুটেশন নিয়ে অন্যস্থানে অবস্থান করা চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও - ২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন এমপি।
১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সীমান্তের অবহেলিত মানুষের চিকিৎসা সু-নিশ্চিত করতে সরকার চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পদায়ন করা হয়েছে। এখান থেকে নিয়মিত বেতন ভাতাদি উত্তোলন করছেন তারা। অথচ ডেপুটেশন নিয়ে অবস্থান করছেন অন্যস্থানে। এটা আমার এলাকার ভোটারদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি চাই, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে। এই এলাকার মানুষ সেটির দায়িত্ব আমার কাধে দিয়েছে। এজন্য ডেপুটেশনে থাকা সকলের বেতন বন্ধ রাখতে বলেছেন তিনি। হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেপুটেশনে ৩ জন চিকিৎসক, ১১ জন নার্স, ২ জন মিডওয়াইফ ও ৭ জন কর্মচারী ডেপুটেশন নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। এসব কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করা হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে। জানা গেছে, হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৮ জন, এর মধ্যে ডেপুটেশনে ৩ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স পদটিতে ৩০ জনের মধ্যে সবাইকে পদায়ন করা হলেও ১১ জন ডেপুটেশন নিয়েছেন। এছাড়াও মিডওয়াইফ পদে ৫ জনের বিপরীতে ৩ জন কর্মরতদের ২ জন ডেপুটেশনে, সিকিউরিটি গার্ড, ওয়ার্ড বয়, কম্পিউটার অপারেটর, পরিসংখ্যানবিদ, জুনিয়র মেকানিকসহ আরও ৭ জন কর্মচারী ডেপুটেশন নিয়েছেন। ডেপুটেশন নেওয়ার কারণে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বিঘ্ন তৈরি হচ্ছে। রোগীরা সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এর ফলে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে।
হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমুজ্জামান পরে মুঠোফোনে জানান, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এমপি স্যার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখতে বলেছেন, আমরা বেতন ভাতা বন্ধ রাখবো। পাশাপাশি আমাদের এখানে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য সার্জারী, গাইনী ও অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্ট নেই। আলট্রাসনোগ্রাম সহ কয়েকটি মেশিন প্রয়োজন। সে গুলো ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি তুললে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: নুর নেওয়াজ আহমেদ মুঠোফোনে জানান, বেতন বন্ধের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি এমপি স্যার। তবে চিকিৎসক-নার্সেরা ডেপুটেশনে থাকলেও তারা কিন্তু দায়িত্ব পালন করছে। এমপি স্যার চাইলে তাদের ডেপুটেশন বাতিল করা হবে।