মাজারে প্রশান্তি
ভারত থেকে-----
অধ্যাপিকা ড.হোসেন আরা বেগম
ম্যাক্স হাসপাতালের বেজমেন্টে বিশাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন এবং নিজের জন্য কিছু কিছু Duplicate Diagnosis for comparison our TMC-RCH General Hospital, Bogura With world renowned Max Super Speciality Hospital, Delhi থেকে সঙ্গীগণ অধিকাংশই হোটেলে গেলেন। আমি দুইজন সঙ্গীকে নিয়ে অন্তরের আধ্যাত্মিকতার অনুভবে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলীয়ে কামেল, সাধক খাজা নিজামুদ্দিন আউলিয়া যিনি শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকার (রহ:) এর শিষ্য ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে পিতৃ হারার পর মাতা জেলেখাকে নিয়ে জন্মভূমি উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে আসলেন। প্রখর মেধাবী, অত্যন্ত সাহসী এই আধ্যাত্মিক সাধকের সাহসিকতা এবং ইবাদাত বন্দেগি বিষয়ে বহু কাহিনী শোনা যায়। নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে দেখলাম, সার্বক্ষণিকভাবে লাখে লাখে মানুষ জিয়ারত, মানতের নিমিত্তে, পুণ্য অর্জনের উদ্দেশ্যেই শুধু নয় দৈনিক কোটি কোটি টাকার বিপণন ব্যবস্থা দেখে অভিভূত হলাম। স্বামী অধ্যাপক আলহাজ্ব আনসার আলী তালুকদার এর সন্তুষ্টির জন্য ঠেঙ্গামারা, TMC-RCH চত্বরে শায়িত শাহ সুলতান বলখি মাহী সাওয়ার এর অন্যতম শিষ্য হযরত শেখ দেওয়ান (রহ:) এর মাজারের একটি গিলাফের উচ্চমূল্য এবং মাজার প্রীতি দেখে আমার সেক্রেটারি ফেরদৌস রহমান শিরক সম্বন্ধে বারংবার আলোকপাত করছিলেন। আয়শা বেগম তাতে বিরক্ত দেখালে আমি বলছিলাম, ফেরদৌসরা তো আহলে হাদিস, সরাসরি আল্লাহ ও রসুল তাদের লক্ষ্য। আমরাও মূলত তাই। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের বহিঃসম্পদ বিভাগীয় একজন যুগ্মসচিবের সঙ্গে হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজারে যে রুপ জনজট দেখেছিলাম, যতোবার দিল্লিতে এসে মাজারে গেছি জনচাপ বৃদ্ধিই দেখছি। আরাম-উপকার না পেলে এতো মানুষ আসে কেন। আধ্যাত্মিকতা না মানলেও মানসিক প্রশান্তি, বিনোদন, প্লাসিবো এগুলো সর্বশাস্ত্র শুধু বিজ্ঞান সম্মতই নয় আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে গড়মিল নাই।
ড.হোসনে আরা বেগম
নির্বাহী পরিচালক,টিএমএসএস