সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
সৈয়দপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর মানববন্ধন গাজীপুরের মৌচাকে ৭২ ঘন্টায় “শিহান” হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতার নুরুল হিকমাহ মাদরাসায় বিশিষ্টজনদের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করে জামায়াত সৈয়দপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান মহান আল্লাহ মদ ও মদের অর্জিত মূল্য হারাম করেছেন সোস এর উদ্যােগে বর্ণাঢ্য  র‍্যালি ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে পূবালী ব্যাংকের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

অধ্যাপিকা ড.হোসনে আরা বেগম এর অনুভূতি প্রকাশ।

প্রতিবেদক এর নাম / ১৪০ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সময় সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

বাংলাদেশের টেরিটোরিতে বীরত্ব, বিজয় গাঁথা আত্মাহুতির নিমিত্তে Monument বা বিজয় স্মারক ১ম বিশ্বযুদ্ধ, ২য় বিশ্বযুদ্ধ, পাকিস্তানের জন্ম জনিত আত্মাহুতি ইত্যাদি ঐতিহাসিক Monument তেমন না থাকলেও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমির ইতিহাস স্মৃতি, লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্মাহুতির বিজয় সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা মহানগরের ৩০ কিঃমিঃ দূরে সাভারে। বিজয় সৌধটি ৪৬ মিটার উচ্চতা, চত্বরের আয়তন ৮৪ একর। বিজয় সৌধটির সাতটি স্তম্ভ যা i) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ii) ১৯৫৪ সালের ঐতিহাসিক যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, iii) ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, iv) ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, v) ১৯৬৬ সালে ঐতিহসিক ছয় দফা আন্দোলন, vi) ১৯৬৯ সালে সামরিক শাসনের গণঅভ্যুত্থান ও vii) ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ, এই সাত ক্ষেত্রে আত্মাহুতি দাতাদের স্মরণে নকশা প্রস্তুত করেন স্থপতি সৈয়দ মাঈনুল হোসেন। ১৯৭২ সালে কাজ শুরু হয়, ১৯৭৮ সালে কাজ সমাপ্ত হয়, ১৯৮৮ সালে ১০৮ একর বনায়নসহ জমিতে জল ফুয়ারাযুক্ত অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন, তিলোত্তমা স্মৃতিসৌধ চত্বর, যেখানে বিশেষ বিশেষ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের দিন ছাড়া গণমানুষের ঢল তেমন একটা দেখা যায় না। ইতিহাস বিনোদন, বিজয়গাঁথা বিনোদন বাংলার মানুষের মনকে তেমন আন্দোলিত করে না, এর রহস্য অনুভব করার জন্য প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ছুটির দিনে, অফিসের দিনে বিজয় স্মরণীর পাশ দিয়ে হেলিকপ্টারে যাবার সময় নিচু দিয়ে ধীরে যাওয়ার অনুরোধ পাইলটকে করলে পাইলট স্মৃতিসৌধকে সম্মান জানিয়ে ধীরেই যেয়ে থাকেন। কিন্তু আমার মুখ্য উদ্দেশ্য কোন দিন কোন সময় স্মৃতিসৌধ চত্বরে কিরুপ জনঘনত্ব থাকে, তা Imaginary Quick Appraisal করা। আমার বহু লিখনির মধ্য উল্লেখ করেছি, ভারতের নাগরিকদের ভারত প্রীতি, বাংলাদেশের নাগরিকের স্বদেশপ্রীতি অপেক্ষা বহুগুণ বেশি। ম্যাক্স হাসপাতালের সন্নিকটে সাকেট এরিয়ায় সিটি ওয়াক মলের তৃতীয় তলা থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত বিশাল Svelte Hotel এর অভিজাত এলাকা থেকে দিল্লির বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন, জ্ঞান অর্জন (দেহের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন খাদ্য উপাদান/Ingredients, ব্রেনের জন্য প্রয়োজন নতুন-পুরনো তথ্য সংগ্রহ করা, বিশ্লেষণ করা, যা ব্রেন সতেজ হওয়ার Ingredients অর্থাৎ পেটের জন্য ওজনধারী সামগ্রী, ব্রেনের জন্য ওজন শূন্য জ্ঞানসুধা খুবই প্রয়োজন) এর   নিমিত্তে সকল ভ্রমণ সঙ্গীদেরকে নিয়ে ইন্ডিয়া গেট যা ব্রিটিশ আমলের স্মৃতিসৌধ, দেখতে গেলাম। ১৯২১ সালে স্যার এডউইন লুটিয়েন্স ইন্ডিয়া গেটের নকশা করেছিলেন। আর্ক দে ত্রিম্ফের আদলে অত্র নকশা সমাপ্ত হয় ১৯৩১ সালে। ১ম বিশ্বযুদ্ধ এবং ৩য় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে যে প্রায় ৯০,০০০ সেনা জোয়ানদের আত্মবিসর্জন ছিল, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্য উৎসর্গকৃত এই স্মৃতিসৌধ গেটে তাঁদের নাম খোদিত থাকলেও ঐ যুদ্ধে শহীদ হওয়া প্রায় ৬৩,০০০ মুসলিম সেনা এর নাম খোদিত নাই বলে অনেকের অনুযোগ, অভিমত আছে। ভারত স্বাধীন হওয়ার ১৬ বছর পূর্বে লাল সাদা বেলে গ্র্যানাইট পাথরের তৈরি সৌধ চত্বর ৩,৬০,০০০ বর্গমিটার বা ১০০ একর।গেটটির ব্যাস ৬২৫ মিটার, উচ্চতা ৪২ মিটার, চওড়া ৯.১ মিটার, গেট সৌধটি অখিল ভারতের যুদ্ধস্মারক, ব্রিটিশ রানী এর পুত্র  ডিউক অব কনাট এর অর্থায়নে ইন্ডিয়া গেট নির্মিত হয়।
লক্ষণীয় যে, অফিস দিনেও ইন্ডিয়া গেট চত্বরে দর্শনার্থীদের জনজট প্রচুর ছিল।বিশাল টয়লেট চত্বরে মানুষের বেসামাল ভিড় থাকা সত্ত্বেও দৃশ্যত ফ্যামিলি টয়লেট তুল্য গণ্য হচ্ছিল। যে ধর্মে দেশ প্রেমই ঈমানের অঙ্গ, সেই ধর্মের শতকরা ৯০% মানুষ বাংলাদেশে বিদ্যমান। সেই দেশে, দেশ প্রেম নাই, মানে ঈমান নাই। ঈমানবিহীনতায় ওমরাহ হজ্জ, গলায় জড়ির মালা ঝুলানো, বাহারি বাহারি কুরবানি যাই করি না কেন শূন্যের সঙ্গে যতো শূন্যই দিবো Summation-Addition কিছু হবে না। তাই Academically, Mathematically সমাজ তত্ব, বিজ্ঞান তত্ব, ধর্ম তত্ব মোতাবেক বাংলাদেশের নাগরিক আমরা ঈমান শূন্যতায় আছি। সাধু সাবধান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর