খুলনার ডুমুরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সাতটি ইটভাটাকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া(খুলনা)প্রতিনিধি
খুলনার ডুমুরিয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা এবং ইট প্রস্তুুত এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লংঘন করে অবৈধ ভাবে পরিচালিত ৭টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। ইট ভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড় পত্রের মেয়াদ দুই বছরেরও বেশী সময় উর্ত্তীন্ন হলেও অবৈধ ভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের রীট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভদ্রা ও হরি নদির তীরবর্তি ১৪টি ইটভাটার জায়গা দখল এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়া পত্র বিহীন ইটভাটা গুলো বন্ধে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। যার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন গত বছর ২ ফেব্রুয়ারী ৬টি ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা এবং ৮টি ইটভাটা সীল গালা করে বন্ধ করে দেয়। কিন্ত অসাধু ভাটা মালিকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের ইটভাটাগুলো আবারও পরিচালনা করতে থাকে।
আজ রোববার খুলনা পরিবেশ দপ্তরের উদ্যোগে খর্ণিয়া ব্রীজের উত্তর পাশে অবস্হিত শাহাজান জমাদ্দারের মালিকানাধীন সান ব্রিকস,রানাই এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন কেবি ব্রিকস,আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জে,বি ব্রিকস,আমিনুর রশিদের মালিকানাধীন লুইন ব্রিকস,গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকস-৪ এবং শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের মালিকানাধীন স্টোন ব্রিকস'র প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে মোট ২১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা পরিবেশ দপ্তরের সহকারি পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ,থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ।