লেখকঃ জাহাঙ্গীর আলম অর্ণব
সরকারি এম এম কলেজ।
ঠিকানাঃ চৌগাছা, যশোর
নাগরিক বিষন্নতায় ঘেরা এ শহর। এ শহরের বাস্তবতা ঘীরে অজস্র মানুষের ভীড়ে কুয়াশাছন্ন কাঁক ডাকা ভোরে, মানুষ ছুটে চলছে বহুদূর। হয়তো কেউ অথয় নীলে কাব্য সাজিয়ে চলেছে আবার কেউবা জীবন সংগ্রামে নতুন সপ্ন বুননে শীতের সকালে নিজ গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছে অনেকটা পথ। পথের ক্লান্তি পেরিয়ে দিনের ঘোর কাটিয়ে রজনীর শেষ প্রহরে মসজিদে আজানের প্রতিধন্নি শোনা যাচ্ছে। নিশো মাত্র ঘুম থাকে উঠলো। শরীলে হালকা জ্বর। হালকা জ্বর নিয়ে ফজরের নামাজ টা আদায় করে প্রিয় সাইকেলটা নিয়ে টিউশনির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। নিশো এবার অনার্স দ্বিতীয় বষের ছাত্র। পরিবারের বড় ছেলে। আছে মা বাবা আর ছোট্ট একটি মিষ্টি বন।
নাগরিক বিষন্নতায় ঘেরা শহরে সপ্ন বুননে মধ্যবিত্ত পরিবারের নিশো আজ এতটা দুরে। সকালে টিউশনি টা শেষ করে নিশো রুমে ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন ও শরীরে জ্বর বইছে। ঘুম থেকে উঠে জানালা টা খুলে কি যেন ভাবছে আর নীরবে চোখের জ্বল ঝরছে। মনে পড়ছে পুরানো দিনের কথা। নিশোর স্টুডেন্টের নাম নীরা ।নীরা এবার তৃতীয় শ্রেনিতে পড়ে। মায়াভরা মিষ্টিমুখ নিরার। একদম নিশোর ছোট বোন নেহার মত।তাই নিশো অনেক সুন্দর করে পাড়ায় নিরাকে। নিরা ও লক্ষীবোনের মত পড়ে।কিন্তু নিশোর আজ মন ভালো নাই। কেননা আম্মু আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হঠাৎ ফোনের রিংটোন টা বেজে উঠল।।
ফোনের ওপাশ থেকে….
আম্মুঃ হ্যালে বাবা কেমন আছিস ?
জ্বি আম্মু আমি ভালো আছি
আম্মু : আমি ও ভালো ও আছি বাবা
হঠাৎ ফোন পড়ে যাবার শব্দে ….
নিশো বলতে শুরু করলো,
হ্যালে আম্মু
হ্যালে্,,,,,
হ্যালো হ্যালো ভাইয়।তুমি আম্মুর কথা বিশ্বাস কোরোনা। আম্মু কিন্তু ভালো নাই। তুমি কবে আসবা ভাইয় (উৎসুখ কন্ঠে নেহা বললো)
আসবো রে বোন আসবো (নিশো অস্রুসিক্ত কণ্ঠে বললো)
নিশো হটাৎ ফোনটা কেটে দিলো।
নিশো বুঝতে পারছে এখন তাকে বাড়িতে টাকা পাঠাতে হবে। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা নিশো নামের ছেলেটিকে আজ যেভাবেই হোক কিছু টাকা বাড়িতে পাঠাতে হবে। কিন্তু কিভাবে এসবের উত্তর শুভ্র নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে যেন খুঁজে চলেছে।
হটাৎ একটা ফোন আসলো। .
হ্যালো ,,
আস্সালামুআলাইকুম,ভাইয়া
ওয়ালাইকুম আসসালাম। ..
কি রে কোথায় তুই ? .
তোর কণ্ঠটা এমন লাগছে কেন
ও কিছুনা ভাইয়া আপনি বলেন।..
শোন তুই মেস এ থাক আমি আসছি। .
কথা হচ্ছিলো মেস এর এক বড় ভাই সাইমুম এর সাথে।
নিশোর স্টুডেন্ট কম,কেননা এ শহরে সবকিছুতেই প্রতিযোগিতার একটা রক্তিম লড়াই করে সবাইকে চলতে হয়। মাত্র একটা স্টুডেন্ট। অল্প টাকা। নিজের লেখাপড়ায় খরজ আর অসুস্ত মা এর জন্য ঔষধ এর টাকা জোগাড় করতে তাই আজ নিশোকে একটু বেশি লড়াই করে বাঁচতে হচ্ছে। তাই নিশো ভাবছে যদি আরো কিছু স্টুডেন্ট পেতো তাহলে হয়তো কিছুটা হলে ও শান্তির নিঃশাস নিতে পারতো।
হটাৎ সাইকেলের বেলের শব্দ হলো..
ক্রিং ক্রিং।…..
কে …??
নিশো আমি.
গেট খোল…..
ওহ ভাইয়া……
আসেন ভেতরে আসেন….
শোন…
তোর জন্য একটা ভালো খবর আছে..
ভাইয়ে বলেন……
আগামীকাল থেকে তুই সকালে যশোরে একটি সংগঠন আছে ওখানে ওনাদের সাথে কাজ করবি।
তারপর বড় ভাই সাইমুম নিশোকে বুঝিয়ে দিলো। সগঠনটি সম্পর্কে সবকিছু বুঝিয়ে দিলো।
নিশো একটু শান্তির নিঃশাস ফেললো।
নিশোর জ্বর টা একটু কমলে ও মাথা বেথাটা কমে নাই। কিছুদিন যাবৎ প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে। পকেটের অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় নিজের প্রতি অবহেলার প্রসারতা যেন বেড়েই চলেছে।
সাইমুম ভাই বিদায় নিয়েছে কিছুক্ষন হলো। বেস্ততার প্রহর পেরিয়ে উনি ও ছুটে চলেছে নিজ স্বপ্ন পূরণে
এদিকে নিশো পরিশ্রান্ত মন নিয়ে উৎসুক চোঁখে শুভ্র নীল আকাশ পানে চেয়ে কি যেন ভেবে চলেছে।।
পরদিন সকাল বেলা কুয়াশাছন্ন ভোরে প্রিয় চাইকেলটা নিয়ে সংগঠনটির মানুষদের সাথে দেখা করলো। সংগঠিনটির বিষয় জানতে পেরে নিশো যেন এক আলোর দিশা পেলো। কাজ করতে থাকলো ঠিকঠাক।
সংগঠনটি সবসময় চিন্তা করতো যেন টাকার অভাব এ কোনো ছাত্র -ছাত্রী ঝরে না পড়ে।
হ্যা সংগঠনটি কথা রেখেছে ,নিশো আজ দুইটা ছাত্র কে পড়ায়
বেতন বেশি না হলেও নিজের লেখাপড়া আর অসুস্ত মা এর ঔষধ এর খরজ কোনো ভাবে চলে যাচ্ছে। …
নতুন ছাত্রটির নাম সাদিক।
সাদিক এবার ৯ম শ্রেণীতে পড়ে। সাদিক পড়ালেখাই মোটামুটি ভালো। কিন্তু সম্প্রতি সাদিকের লেখাপড়ায় মন নাই।
আর এই সাদিক এর জন্যই নিশোকে এখানে আসা। ..
সাদিক …,
…..এই সাদিক ,ওঠ বাবা ওঠ
…এখনি তোর স্যার আসবে
বলতে না বলতে নিশোর কলিং বেলের শব্দ শুনতে পেলো।
……আসসালা মুলাইকুম আন্টি
…..ওয়ালাইকুম আসসালাম
আসাও বাবা আসাও
….সাদিক কোথায় আন্টি
…ও ঘুমাচ্ছে
..তুমি বস বাবা আমি ডেকে দিচ্ছি
..আচ্ছা আন্টি
….নিশো বসে আছে। অপেক্ষা করছে সাদিকের জন্য
কিচুক্ষন পর আম্মুর সাথে চেঁচামেচি করে সাদিক অবশেষ একরাশ রাগভর্তি মুখ নিয়ে পড়তে বসলো।
……আসসালা মুলাইকুম স্যার
…..ওয়াইলাইকুম আচ্ছালাম
….সাদিক কেমন আছো।
…..হুম। .(রাগ ভর্তি মুখ নিয়ে)
….কি হয়েছে সাদিক আমাকে বলো ?
….কিছুইনা স্যার
নিশো প্রথম দিনেই এমন একটা আচরণ সাদিকের কাছে আসা করে নাই।
যাইহোক সমস্ত কষ্ট বুকে নিয়ে সাদিক কে পড়ানো শুরু করলো।
নিশো এখন নিজের পড়াশুনা আর টিউশনি নিয়ে অনেকটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পড়াশুনা আর টিউশনি মন দিয়ে করে।
কিছুদিন যাবৎ নিশোর মাথা বেথাটা বেড়ে গেছে। ভেবেছিল একবার ডাক্তার দেখাবে কিন্তু সামনে মাসের ফর্ম ফিলাপ এর টাকা আর মা এর জন্য টাকা পাঠানোর কথা চিন্তা করে সেটা আর দেখানো হয় না নিশোর।এভাবেই কেটেগেলো কিছুটা দিন
একদিন হটাৎ……….
কি হয়েছে আন্টি ? .
আপনি কাঁদছেন কেন..?
বাবা নিশো দেখো সাদিক আজ নেশা করে বাড়ি ফিরেছে। কিছুদিন যাবৎ এমন করে কিন্তু তোমাকে আর বলা হয় নাই
….নিশো দ্রুত রুম এ যাই আর সাদিক কে নিয়ে হসপিটালে যাই।
সাদিক এখন কিছুটা সুস্থ। নিশো সবসময় সাদিক কে অন্য ছাত্রদের মতো অনেক ভালোবাসতো আর সুন্দর করে পড়াতো। তবুও সাদিক কেন এমন করলো। শিক্ষক হিসাবে না হোক বড় ভাই হিসাবে তো আমাকে বলতে পারতো। ও কেন নেশায় আসক্ত হলো। যে বয়সে ওর সারাদিন পড়াশুনা আর খেলাধুলা নিয়ে বেস্ত থাকার কথা সেই বয়সে ও আজ নেশা গ্রস্থ। নাহ আমাকে এটা জানতেই হবে। অতঃপর এক সময় নিশো জানতে পারলো কিছু নেশাগ্রস্থ সহপাঠীর সাথে মিশে ওর এই অবস্থা
নাহ….
যেভাবেই হক সাদিক কে ফেরাতে হবে.সাদিককে বাসায় আনার পর নিশো সাদিকের সাথে বন্ধুর মতো ব্যবহার শুরু করলো। পড়াশুনার পাশাপাশি সাদিককে নিয়ে ঘুরতে যেত নিশো। একটি গাছের শুকনো পাতাকে লক্ষ্য করে নিশো একদিন বললো সাদিক দেখছো গাছের পাতাগুলা ঝরে গেছে ,যে পাতাটি ঝরে গেছে সেই পাতায় হয়তো তার নির এ ফিরবেনা কিন্তু তার স্থানে গজাবে নতুন পাতা। আমাদের জীবন এ কষ্ট থাকবে কিন্তু সেগুলাকে বরণ করে স্বপ্নপূরণ করতে হবে,
আমি জানি তুমি লেখাপড়াই ভালো। তুমি নেশাটা ছেড়ে দাও।
কারণ এই নেশা ঘোর জীবন কতটা কষ্টের সেটা আমি খুব ভালো করে জানি।
নিশো এবার বলতে শুরু করলো। শোনো সাদিক আমার বাবা একজন
এই বলে চুপ করে গেলো নিশো।
কি হলো ভাইয়া চুপ করে গেলেন যে,,
থাক অন্য একদিন বলবো। .
সাদিক তার ভাইয়ার চোখে যেন জ্বল দেখতে পেলো।
সাদিক একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছে ,নিশো সেদিন অনেক কোথায় সাদিক কে বলতে চেয়েছিলো কিন্তু পারিনি। কিন্তু সাদিক এটা বুঝছে ভাইয়া কষ্ট পাক এমন কাজ যেন না করি। তাই সাদিক ও এখন নেশা করা ছেড়ে দিচ্ছে।
সাদিক এর সামনে এস এস সি পরীক্ষা। নিশো সাদিককে করে ভালো পড়ায়। সেদিনকার ভাইয়ার চোঁখের জ্বল সাদিককে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছে। সাদিক আর নেশা করে না। ওদিকে নেহা নামের ছাত্রীটি ও মন দিয়ে পড়ালেখা করে।
সাদিকের পরীক্ষা প্রায় শেষ এর দিক এ,,,,,,,
প্রতিটা পরীক্ষার আগে পড়ানোর সময় নিশো নামের ভাইয়া কে দেখে সাদিকের যেন আত্মবিশ্বাস বেড়ে যেত।
আর মাত্র দুইটি পরীক্ষা বাকি সাদিকের।
…যে সাদিক পড়াশুনায় অমনোযোগী ছিল সেই সাদিক আজ অপেক্ষা করছে তার প্রিয় ভাইয়ার জন্য।
অপেক্ষার প্রহর কাটলো কিন্তু তার ভাইয়া সেদিন আসে নাই.
ফোন ও পাচ্ছেনা ভাইয়া কে।
নিশো কে ও সাদিকের পরিবার অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলো। একটু একটু শিক্ষক আর ছাত্র ছাত্রীদের পরিবারের প্রতি সবার ই একটা সময় মায়া জমে যাই।
এদিকে নিশোর প্রচুর জ্বর আর মাথা ব্যথা।
সাইমুম ভাই নিশোকে হসপিটালে নিয়ে গেছে। ..
নাই। .নিশো আজ ভালো নাই। একটু একটু করে যেন তার ভেতরে এক জ্বলন্তকারী রোগ বাসা বেঁধেছে।
..
আস্তে পারি ডাক্তার ?
……জি আসেন।
…আপনি রোগীর কে হন ?
…জি আমি ওর মেসের বড় ভাই।
…..দেখুন উনার রিপোর্ট তা ভালো নয়
..কি হয়েছে ডাক্তার !
…উনার ব্রেণ ক্যান্সার
…সাইমুম এর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো
…চোখ দিয়ে অস্রু নামতে শুরু করলো সাইমুমের
সাইমুম নিশোকে মেস এ নিয়েছিল আর সাথে কিছু ঔষধ.
নিশো কিভাবে যেন ওর বিষয়টা বুঝতে পেরেছে
সারাদিন রুমে শুয়ে থাকে আর নীরবে কাঁদে।
সেদিন নিশো ঘুমানোর পর আর উঠতে পারে নাই.
গভীর ঘুমে হারিয়ে গেছে অজানা কোনো বহুদূর এ ,যেখান থেকে কেউ ফেরে না।
ওদিকে সাদিকের পরীক্ষা শেষ। নিশোর আম্মুকে কি বলবে সাইমুম। বাড়ছে রিদয়ে রক্তক্ষরণ। কিন্তু বলতে তো হবেই। নিয়তি মানতেই হবে।
অশ্রুসিক্ত নয়ন আর বুকভরা কষ্ট নিয়ে নিশোর পাস এ বসলো সাইমুম।.
কথা বলার শক্তি যেন হারিয়ে ফেলেছে
হটাৎ……
ফোনের রিংটা বেজে উঠলো
আস্সালামুআলাইকুম আন্টি .
….বাবা সাইমুম ,আমার নিশো কোথায় বাবা ,ওর ফোন বন্ধ ,আমি কথা বলবো ,আমার এমন কষ্ট হচ্ছে কেন বাবা ,আমার নিশো ভালো আছে তো বাবা ?
চোখের অস্রু আড়াল করে বললো জি আন্টি ও ইয়ে মানে………(অস্রুসিক্ত কণ্ঠে)
কি আর বলবে সাইমুম ,মা ,মা এর মনে কি কিছু অজানা থাকে ? থাকেনা।
সাদিক ভাইয়াকে ভীষণভাবে মিস করছে
আজ তাই ভাইয়ার মেস এ খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু দেখা মেলেনি আর ভাইয়ার সাথে।
সাইমুম ভাই সহ মেসের রুম মেট রা নিশোর নিথর দেহ নিয়ে ছুটে চলেছে পরিবারের কাছে। ছেলের মৃত্যুর সংবাদে যেন বাবা মা পাথর হয়ে গেছে।
পরিবারের বড় ছেলে নিশোকে হারিয়ে যেন পুরো পৃবিথী হারিয়ে ফেলেছে।
ছোট্ট বোনটা ভাইয়া কে জড়িয়ে কাঁদছে।
সাদিকের পরিবার ও আজ চোখের জল ফেলছে। রক্তের সম্পর্ক না থাকলে ও কখনো কখনো এক অদ্ভুত সম্পর্ক তৈরী করে।
নিশো যেই সংগঠিনর সাথে জড়িয়ে ছিল ,সেই ভালোবাসার সংগঠনটির পরিচিত মিষ্টি মুখগুলা আজ নিশো কে শেষ দেখাটা দেখতে এসেছে ।নিশোর বাবা অঝোরে কাঁদছে। নিয়তি সেটা যাই হোক আমাদের মানতেই হবে ,ঠিক এমনি একটি সমবেদনা জানিয়ে নিশোর হয়তো পরিসমাপ্তিটা হলো.
নিশো আজ নাই কিন্তু নিশো কে ভোলেনি তার ছাত্র ছাত্রী সেই সব ছাত্র ছাত্রীর পরিবার।ভোলেনি সেও প্রিয় সংগঠনটি ,পাশে দাঁড়িয়েছে নিশোর পরিবারের ,
অনেকটা বছর কেটে গেছে ,নিশোর বোন নেহা এখন সেই সংগঠিনটির সাথে এখন কাজ করে। এখানে থাকলে নাকি তার ভাইয়ার সেই স্মৃতি গুলা যেন তাকে শান্তির ছুঁয়া দিয়ে যাই।
নিশো আজ নাই। কিন্তু তার কিন্তু তার স্মৃতি গুলা মিশে আছে সংগঠনটির প্রতিটি সদস্যর রিদয়ে
ওদিকে সাদেকের রেজাল্ট দিছে। জিপি এ ৫ পেয়েছে। আজ সবাই অনেক খুশি ,তবুও খুশির অন্তরালে যেন সে নিশো ভাইয়াটাকে মিস করছে।
শুধু অর্থের কারণে নয় কেউ কেউ অধিক অর্থ ছাড়া ও ভালোবাসা নামক এক মায়ার বন্ধনে বেঁধে ফেলে পুরো পরিবারটিকে ,হোক না কম টাকা ,কিছু বন্ধন হোক প্রিয় সত্য। জমা হোক কিছু সফলতার গল্প।।