মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
সুন্দরবন ভ্রমণে রয়েছেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর সহ প্রায় সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। ফলে পৌরসভার সকল প্রকার সেবা বন্ধ রয়েছে। আচমকা সেবা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পরেছে সেবা গ্রহীতারা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় গেলে দেখা যায় পৌরসভার, মেয়র, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, সকল কাউন্সিলর, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-প্রকৌশলী, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ প্রকৌশলী, হিসাব রক্ষক, হিসাব সহকারী সহ বিভিন্ন স্থরের অধিকাংশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত। জানা গেছে, অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের মধ্যে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ছুটিতে রয়েছেন। এছাড়া মেয়র সহ অন্যান্যরা সুন্দরবন ভ্রমণে গেছেন। সুন্দরবন সহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের ছবি তারা ফেসবুকে পোষ্ট করছেন। যা নিয়ে রীতিমত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এছাড়াও কয়দিন থেকে সেবা বন্ধ থাকার বিষয়ে পূর্বের কোনো নোটিশ না থাকায় সেবা নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মচারী বলেন, হঠাত করেই পৌরসভার সকল কর্মকর্তা ঘুরতে যাওয়ায় পৌরসভা জুড়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তারা যাওয়ার আগে আমাদের সেভাবে অবগত করেনি বা কোনো দিকনির্দেশনা দিয়ে যায়নি। শুনেছি কোথাও কারো অনুমতিও তারা নেয়নি শুধুমাত্র যাওয়ার ঠিক আগে চিঠি দিয়ে চোলেগেছে।
ঘুরতে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে কথা বলতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র ও প্যানেল মেয়রগণের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি। তবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মানিক নিশ্চিত করেছেন যে, তারা সুন্দর সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গেছেন। নিজেরা চাঁদা দিয়ে এই ভ্রমণ ব্যবস্থা করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুজ্জামান বলেন, যেহেতু পৌরসভায় আছি, তাদের ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টা জানি। তারা সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে সেভাবে অবগত করেনি। যাওয়ার আগে তারা একটি চিঠি দিয়ে গেছেন। যেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, তারা টুঙ্গি পাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে যাবেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক রাম কৃষ্ণ বর্মণ জানান, এই বিষয়টি আমি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। তারা যাবার আগে আমাকে অবগত করেনি। তবে এভাবে পরিষদ ফাকা করে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।