স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকায় পোশাক কারখানায় এ কাজ করার সময় পরিচয় হয় রাজু ও জিশা এর। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব এবং অবশেষে তার রূপ নেয় ভালোবাসায়
তারই প্রেক্ষিতে প্রেমিক রাজু বিয়ের প্রস্তাব দেয় জিশার বাবা মা এর কাছে, কিন্তু তারা পরবর্তীতে রাজুর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়, কিন্তু তাতে একটু ও কমে নি রাজু ও জিশার ভালোবাসা, তাই তারা তাদের ভালোবাসা কে স্থায়ী করার জন্য ঢাকা থেকে চলে আসে রাজুর নিজ জেলা চাঁদপুর, সেখানে গত ১২ ই নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে অ্যাফিডেভিট করে তারা বিবাহ করে,
মো. রাজু হোসেন, পিতা- মো. ইসমাইল হোসেন, ফরিদগঞ্জ থানার, কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা। এবং তরিফা আক্তার জিশা, পিতা- মো. লালন মিয়া, নেত্রকোনা সদর থানার মইনপুর গ্রামের বাসিন্দা
কিন্তু বিয়ের পরের দিনেই জিশার বাবা এলাকার মেম্বার এর সহায়তায় মেয়ে কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে, এবং উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওয়ার্ড মেম্বার জনাম শাহ আলম। তিনি গণমাধ্যম কে জানায় রাজু বিয়ে করে মেয়েকে নিয়ে এসেছিল এবং পরবর্তীতে মেয়ের বাবা মা মেয়েকে নিয়ে যায়।
কিন্তু মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার পরেই গত ৪ ই ফেব্রুয়ারি জিশা একটি এফিডেভিড করে যাহাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাজু বিয়ের পর থেকে প্রতিনিয়ত জিশাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত, তবু ও জিশা এই কষ্ট সহ্য করে সংসার করতে চেয়েছিলো, কিন্তু একদিন তার স্বামী তাকে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাই জিশা রাজু কে তালাক দিতে চাচ্ছে।
এই বিষয়ে রাজু জানায়, আমি বিয়ে করার ২ দিন এর ভিতরেই জিশার বাবা তাকে নিয়ে যায়, এবং আমার থানার পুলিশ এবং মেম্বার বিষয়টি তে উপস্থিত ছিল, তাহলে আমি কখন জিশা কে যৌতুকের জন্য বাড়ি থেকে বের করে দিলাম?? আমাকে ফাঁসানোর জন্য মেয়েকে বাধ্য করেছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার জন্য। এবং মেয়ের বাবা আমাকে বার বার প্রাণনাশ এর হুমকি দেয়, আর বলে সি আই ডি তে উনাদের পরিচিত ব্যক্তি আছে, আমাকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখায়।
আমি দেশবাসীর কাছে আমাদের ভালোবাসা ও আমার স্ত্রী কে ফিরে পাওয়ার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করি।