কামরুজ্জমান শাহীন ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কথিত জিনের বাদশা দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নারী সহ ৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় হাসান মীর বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ৪ আসামীকে আটক করেছেন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় আহত ৪ জন হলেন- কথিত জিনের বাদশা হাসান মীরের স্ত্রী নূরনাহার, নূর ইসলামের স্ত্রী রুজিনা, দলিল উদ্দিনের ছেলে মো. হোসেন ও নাগরের স্ত্রী মাহমুদা।
আহতদের মধ্যে নূরনাহার ও রুজিনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের প্রথমে বোরহানউদ্দিন হাসপাতাল ও পরে জেলা সদর হাসপাতাল এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আটককৃতরা হলেন-কচিয়া ৬নং ওয়ার্ডে নসু হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হাওলাদার, তার ছেলে শামীম হাওলাদার, রিপন মীর ও নয়ন মাল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন থেকে কথিত প্রভাবশালী জিনের বাদশা নামে খ্যাত আলমগীর হাওলাদার ও নূর ইসলাম মীর গ্রুপের মধ্যে সাধারণ জিনদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে বিবাদ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে কথিত ‘জিনের বাদশা’ আলমগীর হাওলাদার তার বাহিনী নিয়ে ‘জিন’ নুরুল ইসলাম গংয়ের বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকার জন্য হুমকি দেন। এতে নুরুল ইসলাম মীর গং পাত্তা না দেওয়ায় শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ‘জিনের বাদশা’ আলমগীর তার দলবল নিয়ে নুরুল ইসলাম গংয়ের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। তবে এ ঘটনায় উভয় কথিত জিনের বাদশা দুই গ্রুপের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় হাসান মীর বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ৪ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছেন।