সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
সৈয়দপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর মানববন্ধন গাজীপুরের মৌচাকে ৭২ ঘন্টায় “শিহান” হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতার নুরুল হিকমাহ মাদরাসায় বিশিষ্টজনদের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করে জামায়াত সৈয়দপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান মহান আল্লাহ মদ ও মদের অর্জিত মূল্য হারাম করেছেন সোস এর উদ্যােগে বর্ণাঢ্য  র‍্যালি ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে পূবালী ব্যাংকের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)’র পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ও মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিক উপকরণের অভাবে ১ বছর ধরে অকেজো রক্ত পরীক্ষার মেশিন 

প্রতিবেদক এর নাম / ১৭৩ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সময় সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ

 

 

রক্ত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপকরণ (রিয়েজেন্ট) না থাকায় এক বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন। এতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দ্রুত সময়ে নির্ভুল ও নিখুঁতভাবে রক্ত পরীক্ষা শনাক্তকরণের জন্য ২০২৩ সালের মার্চে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) একটি হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন দেওয়া হয়।
মেশিনটি হস্তান্তরের এক মাস পর এর প্রয়োজনীয় উপকরণ রাসায়নিক (রিয়েজেন্ট) সংকট দেখা দেয়। গত এক বছরে রিজেন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সচল যন্ত্রটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসককে দেখানোর পরে রিপোর্ট পেতে দেরি হয়। ফলে দ্বিতীয়বার চিকিৎসককে দেখানো সম্ভব হয় না। কারণ, নির্দিষ্ট সময়ের পরে বর্হিবিভাগের চিকিৎসক আর থাকেন না। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোগী ও রোগীর স্বজনদের। আশরাফুল নামে এক ব্যক্তি সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় হাসপাতালে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে টিকিট কেটে পৌনে একটায় ডাক্তারের কক্ষে ঢোকার সুযোগ পেয়েছি। চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা দিয়েছে। রিপোর্ট যে কখন পাব তার ঠিক নেই। রিপোর্ট পাওয়ার পরে ডাক্তার দেখাতে পারব কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’আসমা বেগম নামে এক রোগীর স্বজন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘মাকে ডাক্তার দেখিয়ে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছি। দুই ঘণ্টা পর এখন রিপোর্ট দিচ্ছে। আরও দ্রুত সময়ে রিপোর্ট হাতে পেলে চিকিৎসককে সময় মতো দেখাতে পারতাম। এর জন্য আরেক দিন আসতে হবে।’হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব (ইনচার্জ) ফনিন্দ্রনাথ মন্ডল সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘যেখানে টেকনোলজিস্টদের হাতে পরীক্ষা করতে সময় লাগে এক ঘণ্টার মতো, সেখানে মাত্র দুই মিনিটে হেমাটোলজি অ্যানালাইজার মেশিন দিয়ে শতভাগ নিখুঁত রিপোর্ট পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে এ মেশিনে এক হাজার রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা যায়। রিয়েজেন্টের অভাবে এটি বন্ধ হয়ে আছে।’এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। রিয়েজেন্ট হাতে পেলে মেশিনটি ফের চালু হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার যোগদানের তিন মাস হয়েছে। এর আগে, কেন চালু হয়নি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ইতোমধ্যে রিয়েজেন্টের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর