মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের বাঁশিয়াদেবী গ্রামের এক নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সরলতার সুযোগ নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ধর্মভাই সুবল দাস বাবুর বিরুদ্ধে। সুবল বলছে তাদের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব বাঁধায় তারা এখন নাটক করছে। সুবল দাস বাবু (৪৫) ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগর মহল্লার কৈল্লাস দাসের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি আউলিয়াপুর ইউনিয়নের হীরার ধাম এলাকায়। সে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)’তে গাড়ি চালকের চাকুরী করেন। ভূক্তভোগী নারীর পরিবার জানায়, সুবল দাস দূর সম্পর্কের আত্নীয়ের সুত্র ধরে ঐ নারীকে ধর্মবোন বানায়। এরই সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও ঐ নারীর বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ধর্ষণ করতো। এক পর্যায় ঐ নারীর অশ্লীল ছবি-ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সুবল দাস। এব্যাপারে কিছু বলতে গেলে ঐ নারীর সন্তান ও স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো সুবল। সম্প্রতি সুবল দাস ঐ নারীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে ঐ নারীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভূক্তভোগী ঐ নারী জানায়, সুবল দাস আমাকে ধর্মবোন বানায়। আর এরই সুযোগ নিয়ে আমাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এবং মাঝে মধ্যে আমার বাড়িতে এসে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক খারাপ কাজে লিপ্ত করাতো। কিছু বললে আমার স্বামী-সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো। ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলতাম না। সুবল দাস বাবু বলেন আমার সাথে তাদের সম্পর্কটা ভাই-বোনের। তারা আমার কাছ থেকে লাভের উপর টাকা নেয়। সেই টাকা এখনো পরিশোধ করেনি। টাকা চাইতে গেলে তারা এখন নাটক করছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।