রংপুরে ঘুমের মধ্যেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন বেরোবি শিক্ষাথী আফ্রিদি।
মাটি মামুন রংপুর।
বিসিএস পরীক্ষার জন্য ঈদুল ফিতরে বাড়িতে যাননি আফ্রিদি।
কথা ছিল ভালো একটু প্রস্তুতি নিয়ে সামনের বিসিএস পরীক্ষা দিয়েই বাড়িতে যাবেন।
সেজন্য ক্যাম্পাসেই এবারের ঈদুল ফিতর পালন করেন।
কিন্তু, ঘুমের মধ্যেই না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে সবাইকে কাঁদিয়ে মারা যান এ মেধাবী ছাত্র।
মৃত ইমাম আফ্রিদি আগুন ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তার বাড়ি যশোরের বাঘাপাড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সামনে বিসিএস পরীক্ষা থাকায় ভালো প্রস্তুতির জন্য ঈদে বাড়িতে যায়নি ইমাম আফ্রিদি আগুন।
ক্যাম্পাসেই পালন করেন পবিত্র ঈদুল ফিতর। আফ্রিদি গতকাল একই বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৌখিনের (আফ্রিদির এক ব্যাচ সিনিয়র) বাড়ি পীরগঞ্জের রাজারামপুরে দাওয়াতে যান।
সেখানে খাওয়া দাওয়ার পর স্থানীয় দর্শনীয় জায়গায় ঘোরাফেরা শেষ করে রাতে তাদের বাড়িতেই অবস্থান করেন।
সৌখিন-সহ আজ তার ক্যাম্পাসে ফেরার কথা ছিল।
সৌখিন জানান, আফ্রিদির সঙ্গে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক। সে ঈদে বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে আমাদের বাড়িতে ঈদ করতে বলি।
কিন্তু সে জানায় বিসিএস পরীক্ষা সামনে তাই ভালো করে প্রস্তুতি নিতে চায় এবং যে দিন আমি (সৌখিন) ক্যাম্পাসে ফিরব তার এক দিন আগে যেন তাকে (আফ্রিদি) জানাই।
এরপর বেড়ানো শেষে আমরা একসঙ্গে ক্যাম্পাসে যাব। গতকাল বিকেল প্রায় ৫টার দিকে আফ্রিদি আমাদের বাড়িতে আসে। খাওয়া-দাওয়া করে আমরা একটু আশেপাশের জায়গায় ঘোরাঘুরি করি।
এরপর রাতের খাওয়া শেষে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। পরে সকালে খাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে গেলে তার কোনো রেসপন্স না পাওয়ায় বাড়ির লোকজনকে ডাকি। বাড়ির লোকজন পাড়ার এক গ্রাম্য ডাক্তারকে ডেকে আনে এবং ডাক্তার তাকে দেখার পর মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আফ্রিদির পরিবারের কথা হয়েছে।
পুলিশ অভিভাবকদের লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য ডেকেছেন। একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর এমন অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত ব্যথিত। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।