ভোলায় প্রেমিকের মামা বাড়ি থেকে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, মামা,মামি আটক
ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিনে প্রেমিকের মামার বাসায় থেকে লিজা বেগম (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামা মঞ্জুরুল আলম ও মামি খুশি বেগমকে আটক করে পুলিশ।
আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কেয়ামূল্লাহ গ্রামের হাজী মঞ্জুরুল আলমের ঘর থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লিজা বেগম স্থানীয় একটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
তার প্রেমিকের নাম মো. সিয়াম। তিনি বাংলাদেশ ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সর একজন ফায়ারম্যান। তার বাবার নাম মো. আলাউদ্দিন। সিয়াম লালমোহন উপজেলার ধলীগৌনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের করিমগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
লিজার মৃত্যুর ঘটনায় তার বোন ফেরদৌস বেগম বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যার প্ররোচনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সিয়ামের মামা মঞ্জুরুল আলম ও মামি খুশি বেগমকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে লিজার সঙ্গে আরিফুর ইসলাম নামে এক ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৭ দিনের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়।
বিগত এক বছর ধরে সিয়ামের সঙ্গে লিজার ইমোতে পরিচয় হয়। এরপর দু’জন অনেক জায়গায় ঘুরতে যান। গত শুক্রবার সকালে সিয়ামের সঙ্গে তজুমদ্দিনের সুইসগেট এলাকায় ঘুরতে যায় লিজা। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন কিশোর তাদের ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। রাতেই থানায় মুচলেকা দিয়ে প্রেমিক সিয়ামের মামা মঞ্জুরুল আলম থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়।
গত শনিবার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সিয়াম পালিয়ে যায়। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে লিজা মঞ্জুরুল আলমের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ প্রেমিক সিয়ামের মামা মঞ্জুরুল আলম ও মামি খুশি বেগমকে আটক করেন। এ ঘটনায় লিজার বোন ফেরদৌস বাদী হয়ে সিয়ামকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের আটকে অভিযান চলছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।