মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থী ও কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন সৈয়দপুরে তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর মানববন্ধন গাজীপুরের মৌচাকে ৭২ ঘন্টায় “শিহান” হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেফতার নুরুল হিকমাহ মাদরাসায় বিশিষ্টজনদের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করে জামায়াত সৈয়দপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান মহান আল্লাহ মদ ও মদের অর্জিত মূল্য হারাম করেছেন সোস এর উদ্যােগে বর্ণাঢ্য  র‍্যালি ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে পূবালী ব্যাংকের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য !

প্রতিবেদক এর নাম / ১১১ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান সময় মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মেলার আয়োজন আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্য। মেলার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য। আগে এসব তৈজসপত্র তৈরিতে চৈত্রের শুরু থেকে ব্যস্ততা দেখা যেত কুমারপল্লিতে। বৈশাখী মেলায় তাদের কারুকার্যে ফুটে উঠতো বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য। বেচা-বিক্রিতেও স্বপ্ন ছুঁতেন তারা।

কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন বদলেছে। তাই আর আগের মতো নেই তাদের বৈশাখ ঘিরে কর্মব্যস্ততা। বরং পূর্বপুরুষের পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছেন বেশ কিছু কুমার পরিবার। কালের বিবর্তনে যেমন অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে ঠিক তেমনি পরিবর্তনে এসেছে একসময়ের মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, সানকি, ঘটি, মটকা, সরা, চারি, কলস, প্রদীপ, ব্যাংক, পুতুল, কলকি, ছোটদের খেলনা হাতি, ঘোড়াসহ দেবদেবীর মূর্তিতে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের পাল পাড়ায় যে কয়েকটি পরিবার এই পেশা ধরে রেখেছে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জেনে আর এ পেশায় থাকতে চায় না। তাই এই মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা বলেন, প্লাস্টিকের খেলনা ও আসবাবপত্র বের হওয়ায় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা কমে গেছে। আগে বৈশাখী মেলার জন্য আমরা চৈত্র মাসজুড়ে ব্যস্ত থাকতাম। এখন বাধ্য হয়ে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সহযোগিতা চান এই পেশায় জড়িতরা। তারা সরকারিভাবে ঋণ দেওয়ার দাবি জানান। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার মতো ঠাকুরগাঁও জেলায় মৃৎশিল্পও রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। মাটির তৈরি পণ্যগুলোতে কীভাবে আরও চাকচিক্য আনা যায় সেজন্য এই পেশায় প্রশিক্ষণ সহ আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহজে ঋণের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলেবো।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর