মাটি মামুন রংপুর
রংপুরের গঙ্গাচড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দায়ের
করা মামলায় গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় এক নারীকে ১০ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
পরে সঠিক তথ্য জানার পর ওই নারীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুঃখ প্রকাশ করলেও
পারিবারিক সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তার স্বামী আব্দুল মান্নান।
তার বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়।
অভিযুক্ত নারীর বাড়িও একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে।
তবে ওই নারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনো গ্রাহক নন।
স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে এবং সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানা গেছে, অভিযুক্ত হাসিনা বেগমের (৫০) কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি।
তাই বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস।
পুলিশের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় আদালত থেকে আসা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজের উপর ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম জানান, রাত ১টার সময় পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে।
আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কীসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে।
আমাকে কাগজ দেখান।
তখন কাগজে দেখি আমার স্বামী ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সাথে কথা না বলে থানায় চলে আসি।
আমার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেনি। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগলো আমার মানসম্মান নাই।
গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল জানান, একটু তথ্যের ভুলের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অনিচ্ছাকৃত ভুলের বিষয়টি জানার পর আমরা থানায় যোগাযোগ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রকৃত তথ্য জানতে পেরে পুলিশ তাকে ছেড়েও দিয়েছে।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, আদালত থেকে পাঠানো গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়।
তারা তাকে তাদের গ্রাহক হিসেবে নিশ্চিত করার পরই ওই নারীকে আটক করা হয়।
গ্রামের পাশাপাশি স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় ওই নারীর ক্ষেত্রে এ ঘটনাটি ঘটে।
সকাল ১০ টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।