ছোট ভাইয়ের নির্বাচনী অফিসে বড় ভাইয়ের সমর্থকদের ককটেল বিস্ফোরণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজমান।
আফছানা আক্তার,
কুমিল্লা ,প্রতিনিধি
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় মোকাম ইউনিয়নের আবিদপুর পশ্চিমপাড়া এবং নিমসার পাঁচকিত্তা মসজিদের পার্শ্বে টেলিফোন প্রতিকের প্রার্থী তারেক হায়দারের নির্বাচনী অফিস এ পৃথক পৃথকভাবে ককটেল বিস্ফোরণ করে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।
মোকাম ইউনিয়নের পশ্চিম আবিদপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ সহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আবিদপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মজিবুর রহমান ও ঘোরা প্রতিকের প্রার্থী আখলাদ হায়দারের ছেলে আদনান হায়দারের নেতৃত্বে টেলিফোন প্রতীকের সমর্থকের উপর অতর্কিত হামলা ও হুমকি দেওয়া হয়। হামলাকালে মুজিবুর রহমান সকলকে বলেন- ২৯ তারিখ কাউকে যেন ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে না দেখি। ভোটকেন্দ্র ভোট দেওয়ার দরকার কারো নেই। টেলিফোনে ভোট দিবে কারা কারা আমরা জানি। তাদের যদি কেন্দ্রের আশেপাশে দেখি তাহলে আর সুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরতে দিব না। যারা যাবেন তারা নিজের জান মালের নিরাপত্তা করে তারপর যাবেন।
অন্যদিকে নিমসার পাঁচকিত্তা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঘোড়া প্রতীকের মিছিল এবং গণসংযোগ চলাকালে ওই মিছিলের মধ্যে থেকে কিছু লোক টেলিফোন প্রতীকের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ করেন। এবং ওইখানকার লোকজনদের মারধরও করেন। ওইখানে সাধারণ জনগণের বক্তব্যানুসারে – কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়াস ও তার দলবল নিয়ে ওই এলাকায় যায় এবং ভোট দিতে গেলে হয়ে বাড়িতে ফিরবে বলে হুমকি দিয়ে আসে। এমন কি এখানকার কয়েকজন মুরুব্বীকে হুমকির পাশাপাশি গায়ে হাত তোলেন এই সাধারণ সম্পাদক। পিয়াস নাকি আরো বলেছেন – যদি কেউ ভোটকেন্দ্রে যায় তাহলে শুধুমাত্র ঘর আপু থেকে ভোট দেওয়ার নিয়তেই যায়। তা না হলে কেন্দ্র থেকে আর বাড়িতে সুস্থ অবস্থায় ফিরে হবে না তাদের।
বুড়িচং এর বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শনের পর বুঝতে পারা যাচ্ছে যে – এই কয়েকটা কেন্দ্র অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভোট গ্রহণের জন্য অনেকটা হুমকি স্বরূপ হয়ে আছে। এছাড়াও বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার প্রতিকার প্রার্থী আখলাদ হায়দার এর লোকজন ভোটারদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে যাতে তারা নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকে।
তাদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে বিরাজ করছে। তারা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য গণমাধ্যমের মারফতে নিবেদন জানিয়েছেন।