ওমানস্থ জালান বোয়ালি বাংলাদেশ স্কুলের নতুন ভবন উদ্বোধন।

এ এস এম সাদেকুল ইসলাম ( ওমান)

ওমান প্রবাসী ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তৎকালীন ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রয়াত মেজর জেনারেল আহমেদ চৌধুরী বীরবিক্রম পিএসসি আল নোমান প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট। এই স্কুলে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ২০০০ এর উপরে এবং এই স্কুলের অধীনে ওমানে কয়েকটি বাংলাদেশ স্কুলের ব্রাঞ্চ ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

সব কয়টি স্কুল ভালো অবস্থায় চললেও জালান বোয়ালী বাংলাদেশ স্কুলের অবস্থা খারাপের দিকে ধাবিত হয় বিশেষ করে আর্থিক সংকটের কারণে। বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং জালান কমিউনিটির আন্তরিকতায় জালান স্কুল ধীরে ধীরে সংকট থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ভালো অবস্থানে ফিরে আসে।

গেলো শুক্রবার জালান স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলে ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব নাজমুল ইসলাম এই নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ও ক্লাবের উইংস এর নেতৃবৃন্দ,বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট ও জালান স্কুলের বোর্ড মেম্বারগণ। এছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর নেতৃবৃন্দ, জালান কমিউনিটি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। সোশ্যাল ক্লাবের চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের বক্তব্যে এই স্কুল ভবন নির্মাণে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের পক্ষ থেকে দেড় মিলিয়ন টাকা [১৫ লক্ষ] অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
১০ লক্ষ টাকা সোশ্যাল ক্লাবের ওয়েল ফেয়ার ফান্ড থেকে এবং বাকি টাকা সোশ্যাল ক্লাবের বৃহত্তর কুমিল্লা উইংস বৃহত্তর চট্টগ্রাম উইংস ও ক্লাবের কর্মকর্তারা যোগান দেন তাছাড়া সোশ্যাল ক্লাবের বৃহত্তর ঢাকা উইংস উক্ত স্কুলে একটি শহীদ মিনার নির্মান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সোশ্যাল ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম উদ্যোগ নিলে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন যার ফলে জালান স্কুল ভবন নির্মানে একটি বড় ফান্ডের ব্যবস্থা হবে।

এতে প্রমাণিত হয় ওমানে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ঐক্য হলে অসম্ভবকে সম্ভব করে অসাধ্য সাধন করতে পারে। ধন্যবাদ সোশ্যাল ক্লাবের পক্ষ থেকে যারা অনুদান এ অংশ নিয়েছেন তাদেরকে এবং জালান স্কুলের চেয়ারম্যান ও বোর্ড মেম্বারগণকে। কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতি এই মহতী কাজে সহযোগীতা করার জন্য।