ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের অভিযানে ৬ জন গ্রেফতার – মাদক উদ্ধার !
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন থানা এলাকায় ৫৮০ গ্রাম শুকনো গাজা, ৮০ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২৭ মে সোমবার ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ উল্লেখিত বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে মদকদ্রব্যসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ সালন্দর ইউনিয়নের গড়েয়া রোডস্থ ঠাকুরগাঁও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেইন গেটের সামনে অভিযান চালায়। এ সময় ১০৫ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ পৌর শহরের পূর্ব হাজীপাড়া মহল্লার মৃত মকলেছুর রহমান ওরফে মোখলেছুরের ছেলে মো: মাসুদ ওরফে মাসুম (৩১) কে গ্রেফতার করে। একই সাথে সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের বুড়িরবাঁধ এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ সময় সদর উপজেলার রুহিয়া থানার গঞ্জুরবাড়ী গ্রামের সাগর আলীর ছেলে মো: সারোয়ার হোসেন ওরফে ঝুলু (২৮) কে ১৫৫ গ্রাম শুকনো গাঁজা সহ গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ ছিলাছাপা গ্রামস্থ লোহাগাড়া থেকে পীরগঞ্জ গামী রাস্তার উপর থেকে ৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২০ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট সহ মো: মমতাজ আলী (৪০) কে গ্রেফতার করে। সে ঐ উপজেলার ঘোড়াধাপ (গুচ্ছগ্রাম) গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে। একই দিনে রানীশংকৈল থানা পুলিশ নেকমরদ ভবানন্দপুর (টাওয়ার পাড়া) এলাকা থেকে ২শ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ মো: হুমায়ুন কবির (৪২) কে গ্রেফতার করে। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়াকারী গ্রামের মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে। একই সাথে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ পীরগঞ্জ হতে ঠাকুরগাঁওগামী পীরগঞ্জ সরকারী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামের মো: হাফিজ উদ্দীনের ছেলে মো: দুলাল হোসেন (২৫) কে ৬০পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে রুহিয়া থানা পুলিশ রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের রামনাথ বাজারে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১২০ গ্রাম শুকনো গাঁজা সহ রিপন বর্মন (২২) কে গ্রেফতার করা হয়। সে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মোলানী (ধামাপাড়া গ্রামের বাগ্যনাথের ছেলে। পৃথক ৬টি ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।