ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার সাব --রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না !
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,ঘুষ ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি হয় না, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। রেজিস্ট্রি ছাড়াও দলিলের নকল কপি তোলা এবং দানপত্র, বণ্টনপত্র, ঘোষণাপত্র, অংশনামা ও চুক্তিপত্রের মতো দলিল সম্পাদনেও সেবাগ্রহীতাদের দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের ঘুষ। এক কথায় ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না, পীরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে । জমির দলিল নিবন্ধনে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে দলিলে উল্লিখিত জমির দামের ওপর কার্যালয়-ভেদে প্রতি হাজারে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা করেও নেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সাফ কবলা দলিল, হেবা ও দানপত্র সহ যে কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে ঘুষ হিসেবে দলিলদাতা ও গ্রহীতাকে বাড়তি টাকা খরচ গুনতে হয়। দলিল কমিশন রেজিস্ট্রির জন্য সাব-রেজিস্ট্রার আদায় করেন লাখ লাখ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে, কথিত সেরেস্তার নামে টাকা আদায় এবং পদে পদে হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ। দিন দিন রেজিস্ট্রার অফিসের প্রতি মানুষের ক্ষোভ বেড়েই চলছে। রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জানা যায়,দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নেই, কমিশন খাতা,গত এক বছর থেকে নেই, ফিঙ্গারপ্রিন্ট খাতা। দলিল লেখা বাবদ ৩ হাজার হতে ৫ হাজার ,১০ হাজার, ২০ হাজার ১ লক্ষ টাকা প্রয়োজন লাগে। এমনকি সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিওনো ঘুষ খেতে দ্বিধা করে না। পুরাতন ও নতুন দলিল নকল উঠাতে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
ভুক্তভোগী মনসুর আলী ও আখতারুল ইসলাম বলেন, জমি বিক্রি করে দলিল রেজিস্ট্রি করতে তাদের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে আয়কর ও ভ্যাটের পাশাপাশি আরও ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। ঘুষের এ টাকা ছাড়া জমির দলির সম্পাদিত হয় না। টাকা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি করতে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের লোকজন হয়রানি করে।
পীরগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার আবরান ইবনে রহমান, সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার এই অফিসে কেই এমন করবে তার কোন সুযোগ নেই। আমি কারো কাছে একটি টাকা অতিরিক্ত কখনো নেইনি। যদি আমার নাম ভাঙিয়ে কোনো স্টাফ টাকা দাবি করে থাকে সেটি প্রমান পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।