শাল-পিয়ালের বন
-----------
-জয়া গোস্বামী
আকাশটাকে রাঙিয়ে তুলতে সক্ষম
হয়েছে ভোরের সূর্যের আলো,
শাল-পিয়ালের ঘোর কাটেনি এখনও
চারিধার দেখি নয়ন মেলে কালো।
দেখি দূরে দল বেঁধে করছে নানান
আলোচনা শাল-পিয়ালের বন,
হাড়িয়ার নেশায় বুঁদ হয়েছে কবির
সহজ সরল কাব্যিক মন।
দূরে আসছে ভেসে কাঠঠোকরা পাখি
করছে ঠুকঠাক আওয়াজ,
দুপুরের অলস হাওয়ায় পাতা ঝরে যায়
নষ্ট হয় অরণ্যের সাজ।
অবাক বিস্ময়ে অরণ্যের গন্ধ শুঁকি
মনে হয় করছে আকুতি,
শাল-পিয়ালের বনে মনের তীব্র উচ্ছ্বাস
ভালোবাসার দিই এসে আহুতি।
কখন যে দুপুর থেকে নেমে আসে বিকাল
আদিবাসীদের জন্য থাকি অপেক্ষায়,
ওদের কোমর ধরে নাচি সাঁওতালি ঝুমুর নাচ
সন্ধ্যা নামে পিয়ালের তলায়।
হাতছানি দিয়ে ডাকে কেন আজ আমায়
হারাতে ইচ্ছে হয় মন মুকুটমণিপুরে,
একান্ত সান্নিধ্যে এসে নিজেকে ভালোবেসে
গান ধরেছি আজ বেসুরে।
ঘরে ফিরেছি কতোই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে
করুণ দীর্ঘশ্বাস এখন পড়ে,
স্বপ্ন দেখেছিলাম নির্ভেজাল কতোই রঙিন
ভাবলে কষ্টে অশ্রু ঝরে।