ঠাকুরগাঁওয়ে অল্প বৃষ্টিতেই বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পুকুরের মতো পানি থাকায় শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,অল্প বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠ যেন হয়ে যায় পুকুর। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ব্যবস্থাও। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বলছিলাম, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কথা। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার। এদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
জানা যায়, ১৯০৪ সালে স্থাপিত হয় ঠাকুরগাঁও জেলায় সুনামধন্য সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলটি। যে বিদ্যালয় থেকে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক অনেক মেধাবীরা গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
তবে সুনামধন্য এই বিদ্যালয়ের বর্তমান মাঠের অবস্থা বেহাল। স্কুলে গিয়ে বাচ্চারা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করার কথা থাকলেও জলাবদ্ধতায় তা হচ্ছে না। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জেলার সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপিঠের সামনের মাঠ দেখতে অনেকটা পুকুরের মতোই মনে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে থৈ থৈ পানি। দূর থেকে দেখে পুকুর বলে মনে হয়। জলাবদ্ধ সেই পানিতে শিক্ষার্থীরা কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসাচ্ছে। অনেকে আবার বাস্কেটবল খেলার স্থানে ফুটবল খেললেও যখন তখন ফুটবলটি নোংড়া পানিতে পড়ছে। ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সালমান মুজাহিদ বলেন, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই মাঠ তলিয়ে একাকার হয়ে পড়ে। যার ফলে আমাদের খেলাধুলা ও চলাফেরার ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমাদের কাপড় কাঁদা লাগে যায়। জয়নাল ও মোস্তাফা নামের দুইজন অভিভাবক বলেন, বর্ষার সময় যখন তখন বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই এই বিদ্যালয়ের মাঠটা পুকুরের মতো হয়ে যায়। এটা আজ নতুন তা নয় আগেও এটা দেখেছি। এভাবে পানি জলাবদ্ধ হয়ে থাকলে তো বাঁচ্চাদের জন্য সমস্যা। তাই দ্রুত সময়ে এই সমস্যার সমাধানের জোর দাবি জানাই।
বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক (ডে শিফ্ট) জুয়েল আলম বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ইতিমধ্যে কাজ চলমান রেখেছে। এটা শুধু ছাত্রদের সমস্যা নয়, আমাদের সকলের সমস্যা। আশা করছি এক দুইদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।