ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলন চলাকালে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান
তৌসিফ রেজা (বিশেষ প্রতিনিধি) :
বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত সৈয়দপুরের সাজ্জাদ হোসেনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের পিতা মো. আলমগীরের হাতে নগদ ওই অর্থ তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার এবিএম হুমায়ুন কবীর এনডিসি, পিএসসি, টিই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার লে.কর্নেল মো. নাঈম (অবঃ), ফিন্যান্স ডিরেক্টর একেএম সিরাজুল ইসলাম, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ (বিবিএইনএআইএস) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান এবং ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা মো. রাকিবুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রায়হান প্রমুখ।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুর পৌর এলাকার পশ্চিম পাটোয়ারীপাড়ার আলমগীর হোসেন ও সাহিদা বেগম দম্পতির ছেলে সাজ্জাদ হোসেন। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন ছিলেন সবার বড়। নিজেদের কোন বসতভিটা না থাকায়
অন্যের জমিতে বসবাস করতেন সাজ্জাদের পরিবার। সেখান থেকে উচ্ছেদ হয়ে পারি জমান ঢাকার সাভারে থাকতেন সাভার ডেইরী ফার্ম এলাকার দক্ষিণ কালমা এলাকায়।
সাজ্জাদের বাবা সেখানকার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। আর সাজ্জাদ ঢাকার সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারকে সহযোগিতায় কাজ করতেন একটি পোশাক কারখানায়। প্রায় সাত মাস আগে সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন সাজ্জাদ হেসেন। গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে দিশেহারা হয়ে গুলি চালায় পুলিশ বাহিনী। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হন সাজ্জাদ। তাৎক্ষণিক তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ আগস্ট দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের সদস্যরা সাভার থেকে সাজ্জাদের লাশ সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পাঠানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বেলাল হোসেন নামের এক চাচার বাড়িতে আনা হয়। পরদিন আনুষ্ঠানিকতা শেষে সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।