বিএনপি নেতা এডভোকেট মেহেদীর ভাই সন্ত্রাস মোশাররফ হোসেন মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাভারের হেমায়েতপুর বাসী।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে চাঁদা না দেয়ায় গত ৬ই আগস্ট গভীর রাতে সাভার হেমায়েতপুরে আওয়ামী ক্যাডার মোশাররফ বাহিনী বিএনপির দারুসসালাম থানা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবীদলের যুগ্ন আহবায়ক আরিফের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এই বেপারে ভুক্তভোগী সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরিফ তার অভিযোগে উল্যেখ করেন আমি সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ম্যাক্সকম গার্মেন্টসের পাশে বাসের টিকেট কাউন্টার দিয়া বিভিন্ন পরিবহনের কমিশন ভিত্তিক টিকেট বিক্রয় করিয়া থাকি। মোশারফ হোসেন মোশা তাহার সহযোগী সন্ত্রাসীদের দিয়া আমার কাউন্টার সহ বিভিন্ন পরিবহন ও প্রতিষ্ঠান হইতে বিভিন্ন পরিমানে চাঁদা আদায় করিয়া আসিতেছে। উক্ত বিবাদী ও তাহার সন্ত্রাসী দলের লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নিজস্ব লোক হওয়ায় ভয়ে কেউ কোন প্রকার প্রতিবাদ করিবার সাহস পাইত না। উক্ত বিবাদীকে প্রতিদিন ১,৫০০/- টাকা চাঁদা দিতে হইত। ইদানীং কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করিয়া দেশ অস্থিতিশীল হইয়া পড়িলে আমি উক্ত বিবাদীকে চাঁদার ১,৫০০/- টাকা দেওয়া হইতে বিরত থাকি। ইহাতে উক্ত বিবাদী আমার উপর ক্ষীপ্ত থাকে। গত ইং ০৬/০৮/২০২৪ তারিখ রাত অনুমানিক দেড়টায় আমি আমার কাউন্টার বন্ধ করিয়া আমার পাশের কাউন্টারের হাসমত (৫০)-কে নিয়া পায়ে হাঁটিয়া তাহার বাসায় আগাইয়া দিতে যাওয়ার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী মাদ্রাসা রোডস্থ কাশেম সাহেবের বিল্ডিংয়ের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছাইলে মোশারফ হোসেন মোশা আমাকে দেখা মাত্রই তাহার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন আমার পথরোধ করিয়া দাঁড়ায় এবং আমি কিছু বুঝিয়া উঠিবার পূর্বেই মোশারফের বাহিনী আমাকে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি, লাথি মারিতে থাকে। তখন মোশারফ তাহার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে বারি মারিলে আমি বাম হাত দিয়া ফিরাইলে আমার বাম হাতের কনুইয়ে, কব্জির নীচে এবং কব্জি ও কনুইয়ের মাঝখানে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে আমার সাথে হাসমত আমাকে রক্ষা করতে আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা তাহাকেও এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি মারিয়া হাসমত এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্নক ফোলা, ছোলা ও ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
এমনকি আমার পরনে থাকা ফুলপ্যান্টের সামনের ডান পকেট হইতে নগদ ৫২,০০০/- (বায়ান্ন হাজার) টাকা নিয়া নেয়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন টের পাইয়া আগাইয়া আসিতে থাকিলে মোশাররফ বলে তাহাদের কথায় না চলিলে আমাকে মারিয়া ফেলিবে সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি হেমায়েতপুরস্থ জামাল ক্লিনিকে ভর্তি হই। চিকিৎসা গ্রহন শেষে আমি কিছুটা সুস্থ হইয়া এবং বিষয়টি আমার আত্মীয় স্বজনদের জানাইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করি ।