মোঃ আরমান হোসেন
এই ব্যবসা পরিচালনা করছে কয়েকজন জনকু খ্যাত দেহ ব্যবসায়ী। তার মধ্য অন্যতম দেহ ব্যবসায়ীরমু লহোতা ২/৩ জনের নতৃত্বে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। কুখ্যাত দেহ ব্যবসায়ীর সহযোগী, ম্যানেজার সোহেল মিয়া, ইমরান , হোটেল বয় রিদয়,রাজিব, রনি, ও শিমুল সহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয় জন এই হোটেলে অবৈধ কার্যক্রম চালাচ্ছে । এই গ্রান্ডপ্লাজা হোটেল বাসা নাম্বার-২৯ রোড- অবি সেক্টর- ৯। এই অবৈধ কাজের পৃষ্ঠপোষকতায় আছেন গ্রান্ড প্লাজা হোটেলের মালিক গোলাম সুলতান মিয়া ও তার ম্যানেজার সোহেল মিয়া। প্রতিদিন ৪র্থ তালার ফ্লোর ভাড়া বাবদ কুখ্যাত দেহ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিল্ডিং মালিক নিচ্ছে দশ হাজার টাকা । গ্রান্ডপ্লাজার ৪র্থ তালায় চলে স্পার নামে রমরমা দেহ ব্যবসা। গোলাম সুলতান মিয়ার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত টুংগী গাজীপুর এলাকায় হোটেলে দেহ ব্যবসা করে আসছিলো। যখন ঐ এলাকায় প্রশাসন সততার সাথে হোটেল গুলোতে হানা দিয়েছে, তখনই এই নারীভোগী দেহব্যবসায়ী গোলাম সুলতান মিয়া বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ফ্লাট ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে। ফ্লোর ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে স্পার নামে রমরমা দেহ ব্যবসা।
এই সকল হোটেলের বিরুদ্ধে নিউজ করে লাভ হয়নি।কারন হোটেল মালিক রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে চালিয়ে আসছেন রমরমা দেহ ব্যবসা। বর্তমানে বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিচয় দিয়ে চালানো হচ্ছে এই ব্যবসা। এ বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ ইমরানের নাম্বারে ফোন দিলে তিনি বলেন বর্তমানে আমরা ৬ জন মেয়ে দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করছি। ইমরান আরো বলেন আধা ঘন্টা কাজ করলে (১৫০০) শো টাকা এবং এক ঘন্টা কাজ করলে (৩০০০) হাজার টাকা এবং কেউ যদি নাইট থাকতে চাই তাহলে তার কাছ থেকে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা নেওয়া হয়।
জানায় নিউজ করলে তাদের হোটেলের কিছু করতে পারবে না। বরং হাইলাইটস হবে। হোটেল মালিকরা আরো জানায় মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে আমাদের এই ব্যবসা। কোন সাংবাদিক লিখে আমাদের কিছু করতে পারবে না। আমাদের হোটেলে কিছু করার আগে পুলিশ আমাকে ফোন করে সতর্ক করে দেয়। তখন আমি মেয়েদের নামিয়ে দিই। পরবর্তীতে সাংবাদিক ও পুলিশ তল্লাশি করে কিছু পাবে না, বরং সাংবাদিকরা লজ্জা পাবে। তাহলে কি দেহ ব্যবসায়ী হোটেল মালিকদের কথাটাই সঠিক। তা না হলে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে রমরমা দেহ ব্যবসা । উত্তরায় আছে নামি দামী শপিং মলের দোকান ও ব্যাংক বীমা অফিস। আর এই সুন্দর জায়গায় চলে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের নিয়ে অন্তরংগ দেহব্যবসা। যে সকল হোটেলে স্পার নামে অবৈধ দেহ ব্যবসা চলে ১/হোটেল এক্সপ্রেস মল- ১৪ নাম্বার সেক্টর। ২/ হোটেল গ্রান্ডপ্লাজা -৯ নাম্বার সেক্টর উত্তরা । ৩/হোটেলকমফোর্ট -৯ সেক্টর উত্তরা । ৪/হোটেল আকবর অব্দুল্লাহপুর। ৫/ হোটেল রাজমনি, আব্দুল্লাহপুর মাছ বাজার সহ বিভিন্ন হোটেলে অন লাইন সহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ে আসে খদ্দেরদের। এই ব্যাপারে জানতে গ্রান্ড প্লাজার হোটেল বয় হৃদয়ের নাম্বারে ফোন করলে তিনি জানায় আমি সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করি প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে তিনশ কাস্টমার আসে আমাদের হোটেলে। হোটেল বয়ে হৃদয় আরো জানায় গ্রান্ড প্লাজায় নিয়মিত দেহব্যবসা চালিয়ে আসছেন উপরের উল্লেখ্য দেহব্যবসায়ীরা। অসামাজিক কাজ চলে বলে সত্যতা পাওয়া যায়। উত্তরার সুশীল সমাজের একটাই দাবি এদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক এসমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হোক। উত্তরা মডেল টাউন এলাকায় হোটেল অথবা বাসা বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই দেহ ব্যবসা চললে এলাকার যুবসমাজ নষ্ট হবে।