নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।
দেশের বাণিজ্যিক নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ ইপিজেড পণ্যসামগ্রী পুরো দেশেই বহন করার ব্যস্ততম সড়ক আদমজী রোড। নারায়ণগঞ্জের মহাসড়কের চিটাগাংরোড মাইক্রো স্ট্যান্ডের সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে চিটাগাংরোড মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড।
সড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ডে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় দুইশত কার ও মাইক্রোবাস রাস্তার মধ্যেই পার্কিং করে রাখা হয়। পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না। কারণ রাস্তা ও ফুটপাত দখল করেই চলে এই পার্কিং বাণিজ্য।
সরেজমিন দেখা গেছে, শত শত কার ও মাইক্রো রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রাখা হয় এসব গাড়ি সড়কে যানজট নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক গাড়ি চালক বলেন, আমরা জিম্মি হয়ে আছি, এই গাড়ি ভর্তিতে ও গাড়ি রাখতে প্রথমে ছয় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দায়িত্বে থাকা দেলোয়ার ও অহিদকে দিতে হয় প্রতি গাড়ির জন্য মাসোহারা দিতে হয় প্রাইভেট ও নোহা পাঁচশ টাকা ও হাইয়েস সাতশ। সেই হিসেব মতো দেখা যায় অবৈধ পার্কিং হতে মাসে প্রায় দের লাখ টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে।
এ বিষয়ে দায়িত্বে থাকা দেলোয়ার ও অহিদ বলেন, প্রতিটা গাড়ি ভর্তির জন্য ৫ হাজার থেকে ৬০০০ টাকা নিচ্ছি । যেমন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনেককেই মাসিক মাসোহারা দিতে হয়।
চাঁদাবাজির বৈধতার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে যারা বিভিন্ন নেতার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এই স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণে ছিল তারা খোলস পাল্টে বিএনপির নেতাদের কাছে ঘুর ঘুর করতে দেখা যায়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশাল অংকের চাঁদা তুলে কয়েকজন পরিবহণ নেতা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। কিছু গাড়ির চালক সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হয়ে গাড়ি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক বনে গেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক গাড়ির মালিক বলেন, দেলোয়ার ও অহিদ রেন্টকার কমিটি নিয়ে বিভিন্ন বিএনপি নেতাকর্মীর দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছে এখন দল পাল্টিয়ে দেখা গেছে বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের উপস্থিতি দেখা যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আল মামুন বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি কোন চালক অথবা গাড়ির মালিক অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।