নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি চৌধুরীপাড়া বসু হাজী মার্কেট এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় হামলা করে ৪জনকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অভিযোগ দায়ের করেন মৃত. ওমর ফারুকের ছেলে মো. জুয়েল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি চৌধুরী পাড়া বসু হাজী মার্কেট এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী স্বপন (৪৫), গিয়াস উদ্দিন টুলুর ছেলে মহিন (২৮), আক্তারের ছেলে মাইনুদ্দিন (২৮), মজিবুরের ছেলে সায়েম ওরফে কেলমা (১৮), ও রতন (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
মাদক বেচা-কেনা করতে বাঁধা দেয় একই এলাকার রাজু (৩৪) ,কাজল (২৮), জুয়েল (৩৫), সামির ওরফে ভান্ডিল (২৭)।
স্বপন, মহিন (২৮), মাইনুদ্দিন (২৮), সায়েম ওরফে কেলমা (১৮) ও রতন (৩৪) তারা সকলেই দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত এবং আমার এলাকার সকল তরুণদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই মাদক ব্যবসায় এলাকার সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও যুব সমাজ মিলে বাঁধা দিলে তারা তৎক্ষনাৎ হামলা করে।
জুয়েল জানান, আমাদের এলাকার ছোট ভাই রাশেদের উপর স্বপন তার ব্যবহারকৃত সুইচগেয়ার দিয়ে হাতের রগ কেটে দেয় এবং আমার বন্ধু রাজুকে (৩৫) বেধড়ক মারধর করে, তারপর আশে পাশের লোকজন তাকে নিয়ে রাজুকে খাঁনপুর সরকারি হাসপালে নিয়ে যায় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজুকে একটি পুলিশ কেইসের কাগজ দেয়।
তারপর উক্ত বিবাদীগন আবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় আমার বাসার সামনে এসে আমাকে অতর্কিত হামলা শুরু করে, এক পর্যায়ে তারা তাদের সাথে আনা চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় কুপ ছুড়ে মারে এবং সঙ্গে সঙ্গে আমার মাথা ফেঁটে যায় ও আমার ব্রু কেটে যায়। আমার ছোট ভাই কাজল (৩০) এসে আমার এই অবস্থা দেখে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে খাঁনপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, আওয়ামী লীগের দোসর অলির ছেলে মাসুমের লোক স্বপন চোর ওরফে মাদক ব্যবসায়ী। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলে স্বপন চোর একজন মাদক করবারি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, স্বপন ওরফে চোর স্বপন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের একটি সিন্ডিকেট আছে সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। আমার এলাকায় কোন মাদক ব্যবসায়ীর ঠাঁই হবে না। এই মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আনার অনুরোধ জানাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।