ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে ৫শ’একর বনভূমি বেদখলে, উদ্ধারে তৎপরতা কর্তৃপক্ষের নেই !
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বনের জমি দখলের মহোৎসব থামছেই না। প্রায় ৫শ’ একর জমি বেদখল হয়ে গেছে। রানীশংকৈল উপজেলার ফরিঙ্গাদিঘী, কাশিপুর, ধর্মগড় ও বাহেরপাড়া সহ অন্য বনভূমির মোট ৫১৯.৩২ একর জমির ৫০০ একর জমি দখলে নেই বনবিভাগের। বেদখলে থাকা এসব বনভূমি উদ্ধারেরও তৎপরতা কর্তৃপক্ষের নেই । এখন দখলদাররাই হয়ে গেছেন বনের ‘মালিক’। ৫শ’একর বনভূমি এখন দখলদারদের হাতে। রাতের আঁধারে একের পর এক গাছ কেটে বনের এসব জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়ি, দোকান পাট সহ নানা স্থাপনা। বন কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনী জটিলতা আর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে উদ্ধার করা যাচ্ছে না বনের এসব দখলি জমি। ১৯৮৫ সালের পর থেকে, বনের দখলী জায়গা উচ্ছেদের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের হাতে। খোদ বন কর্তারা ও স্থানীয়রা বলছেন, জনবলের অভাব ও স্থানীয় প্রভাবে বেহাত হচ্ছে বনের জমি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার আশ্বাস দিলেন দিনাজপুরের সহকারী বন সংরক্ষক। বনভূমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসন ও বন বিভাগের জোর তৎপরতা প্রয়োজন, অভিমত সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী বন সংরক্ষক (দিনাজপুর) নূরুন্নাহার জানান, এসব জমি তো অনেক আগেই বেদখল হয়ে গেছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তারপরও বনভূমির জমি উদ্ধারের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বন কর্মকর্তারা দখলকারীদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রণয়ন করেছে।