ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখা সেই কনস্টেবল সহ ২ জন আটক ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলায় এক কলেজছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন কে (২৮) আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও শহর থেকে আটকের পর মামলায় দেখায় সদর থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির। আটক আল আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন । তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর রহমানে ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ২ মাস আটকে রাখেন কনস্টেবল আল আমিন ও তার বন্ধু রবিউল। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে শহরের হাজিপাড়া একটি মেস থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপর আসামি রবিউলকে (৩২) আটক করা হয়। রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে চাকরি করতেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের আব্দুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।
ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী বলেন, আল আমিন আমাকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে ৫ দিন রেখে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কক্সবাজার থেকে এসেই জানতে পারি সে বিবাহিত। আমি নিশ্চিত হই সে প্রতারক। আমি আমার বাসায় ফিরে যেতে চাই। বারবার তাকে অনুরোধ করি। কিন্তু আল আমিন ও রবিউল আমাকে আটকে রাখে। ২ মাস পর্যন্ত আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন করেছেন তারা। ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে মাস তিনেক আগে একদিন আমার বাসায় গচ্ছিত থাকা ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে যায়। তারা আমার মেয়েকে কখনও রবিউলের বোনের বাসায়, কখনও মহিলা মেসে, কখনও বা কক্সবাজার নিয়ে গেছে। প্রায় তিনমাস পর একটি মহিলা মেস থেকে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি এই অন্যায় ও জুলুমের বিচার চাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই কনস্টেবল আল আমিনকে আটককের তৎপর হয় পুলিশ। অবশেষে ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।