শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ’ জেএসএফ বাংলাদেশ
হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ বাংলাদেশ) বিবৃতিতে বলেছে , যুক্তরাজ্যে বক্তৃতাকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই তো এই ক্যান্টনমেন্ট। আমি এই ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা! সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সময় পাবো এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেবো।
শেখ হাসিনার বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণিত হলো আদালতকে ফরমায়েশি রায় দেয়ার জন্য শেখ হাসিনা নিজেই বাধ্য করেন। আইন আদালতের তোয়াক্কা করেন না। বেগম জিয়ার চিকিৎসার নিয়ে যে কথা তিনি বলেছেন তাতে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে। খবর বাপসনিউজ ।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছে জেএসএফ বাংলাদেশ ।
বিবৃতিতে জেএসএফ বলেছে , লন্ডনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এত অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল জায়গা থেকে দিতে পারেন সেটা আমরা ভাবতে পারি না। তার বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে এদেশের মালিক একজন। এদেশে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ নেই। বিচার বিভাগ তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায় বলতে পারেন? কোনো দেশ পাঠায়? তারা এটা দাবি করে। আমাদের কেউ কেউ আতেল আছে। তারা বলে, একটু কি সহানুভূতি দেখাতে পারেন না! সে এভারকেয়ার, বাংলাদেশের সব থেকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়স তো ৮০’র উপরে। সময় হয়ে গেছে। তার মধ্যে অসুস্
বিদেশে চিকিৎসার দৃষ্টান্ত অনেক উল্লেখ করে জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম জেএসএফ বাংলাদেশ , ফৌজি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের শাসনামলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী তৎকালীন জাসদের সাধারণ সম্পাদক আসম আবদুর রবকে চিকিৎসার জন্য জার্মানীতে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো।
একইভাবে ১৩ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে ১/১১ ‘র সরকার ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে।এরকম দৃষ্টান্ত আরো আছে।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ বাংলাদেশ) বিবৃতিতে বলেছে , শেখ হাসিনাও এমন সুযোগ (বিদেশে চিকিৎসা) ব্যবহার করেছেন ২০০৮ সালে। জরুরী আইনের সরকারের সময়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজী মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জসিট দেওয়া হয়েছিলো। এই অবস্থায় নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো তাকে। অসুস্থতার কথা বলে তিনি মুক্তির দুই/তিনদিনের মধ্যে বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরে ছিলেন একজন ওয়ারেন্টি আসামী হিসেবে এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথও নিয়েছিলেন ওয়ারেন্টে আসামী থাকা অবস্থায়। সুতরাং আইনের দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ বাংলাদেশ) বিবৃতিতে বলেছে , আগামীতে যদি কোন সরকার যদি অন্যায়ভাবে শেখ হাসিনাকেও নির্যাতিত করে আমরা ঠিক একইভাবে এর প্রতিবাদ করবো , কারণ দেশ জনগণের কারো বাপদাদার ব্যক্তিগত সম্পদ নয়।