ভোলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, নদী উত্তাল, আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং
কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা:
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত থাকায় ভোলা থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ভোলার বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সকাল থেকে ভোলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হওয়ায় ৭ উপজেলার(ভোলা-ঢাকা, ভোলার বোরহানউদ্দিন-ঢাকা, চরফ্যাশন-ঢাকা,শশীভূষণ-ঢাকা, লালমোহন-ঢাকা, মনপুরা-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, দৌলতখান-আলেকজান্ডার) সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনর প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। বাড়তে শুরু করেছে বাতাস ও নদীর পানি।
ঘূর্ণিঝড় হামুনর সকাল থেকে ভোলায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে সকালের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও দুপুরের দিকে আর বৃষ্টি হয়নি।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক মো. আব্দুর রশিদ জানান, ভোলায় বর্তমানে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষায় জেলায় ৭৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গবাদী পশুকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১২টি কিল্লা।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭ উপজেলায় ১৩ হাজার ৬৬০ জন সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন। এরইমধ্যে তারা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছেন।