মাহমুদুল হাসান শামীম, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ ‘৬৯ উত্তর থেকে ‘৯০ , এই দীর্ঘ সময়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে যাঁরা দুঃসাহসিক ভূমিকা রেখেছিলেন সেই সাবেক ছাত্র ও যুব ফোরাম আয়োজিত স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস -২০২৩ পালিত হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর ‘২৩ বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পৌর সাধারণ পাঠাগার কাম অডিটোরিয়ামে সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক প্রাক্তন ছাত্রনেতা মুশফিকুর রহমান মশিউরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও আহুত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘২৪ ময়মনসিংহ – ৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত,গীতা পাঠ, সভাপতির স্বাগত বক্তব্য ও সংগঠনের সাবেক সদস্য সচিব ও ছাত্রনেতা বিল্লাল হোসেন মন্ডলের সঞ্চালনার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উক্ত আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. ইদ্রিস আলী আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বছির উদ্দিন, ছিদ্দিকুজ্জামান ছিদ্দিক, এবিএম জহিরুল ইসলাম জহির, দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পি, রফিকুল ইসলাম মানিক, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম নাছির, শাকিল মোঃ তারেক, আবু সাঈদ, খঃ জামাল উদ্দিন বাদশা, মোঃ শরিফুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, মাঈদুল ইসলাম বিটুল ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ‘৭৫ এর নৃশংস হত্যাকান্ড, ‘৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ ও বর্তমান সময়ের স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির উপর আলোকপাত করেন। ছাত্র ও যুব রাজনীতির পর পেশাগত ও অপরাজনীতির কারণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একসময়ের প্রিয়বন্ধু, সহকর্মী, দুঃসময়ের বিশ্বস্ত সাথীদের এতো কাল পর একসাথে পাওয়ার এই মুহুর্ত শুধু আনন্দ, উচ্ছ্বাস, অন্তরাত্মার খোরাক নয়, মহামিলনের মাহেন্দ্রক্ষণে পরিণত হয়েছিল! সতীর্থদের কাছে পেয়ে কোলাকুলি, জড়াজড়ি, চায়ের কাপে ঝড় তোলা, স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে আনন্দাশ্রু নিঃসরণ যেন সময়ের দাবি ছিলো। একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা আতিকুর রহমান মানিক, রুহুল আমিন, তারিকুল ইসলাম তারা, ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, আকরাম হোসেন জনি, মাঈদুল ইসলাম নিপু, বাবু নয়ন কুমার দে, বাবু অশোক পাল, মেহেদী হাসান, ইকবাল শাহজাহান সাজু, সুলতান মাহমুদ ছিলু, হাসানুল ইসলাম হাসান, খাঁন পলাশ, আমিনুল ইসলাম টুটনসহ শতাধিক সাবেক ছাত্র ও যুব নেতাসহ সাবেক ও বর্তমান সময়ের আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী , প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকর্মী, বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, উৎসুক জনতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি, স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, মুহুর্মুহু করতালি, গগনবিদারী শ্লোগান পুরো অনুষ্ঠানকে এক আন্তরিক ও ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেয়। কানায় কানায় পূর্ণ পুরো হলরুমের বাইরে, দরজা ও মঞ্চের পাশে, বারান্দায় তিল ধারণের ঠাঁই না থাকা উক্ত আয়োজন স্মরণকালের যে-কোন রাজনৈতিক তথা ঐতিহাসিক দিবস পালনকে হার মানাবে বলে আমজনতার দাবি। অনুষ্ঠানের মধ্যমনি প্রধান অতিথিকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, যুব নেতা আসাদ হত্যার বিচার দাবিতে ১ মিনিট নিরবতা পালন, দলীয় প্রতীক নৌকার প্রতীকী ছবি অর্পণ পরবর্তী লোভ নয় ত্যাগ, হিংসা হানাহানি নয় বন্ধুত্ব, খুন-প্রতিহিংসা নয় মানবতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে দলমত নির্বিশেষে সকলের আন্তরিক ভালোবাসা, দায়িত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার প্রতীক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, আপামর মেহনতি মানুষের প্রতীক, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকার পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনার উদাত্ত আহ্বান জানান।