বান্দরবানের রুমা- কেওক্রাডং সড়কে সড়ক দুর্গটনায দুইজন নিহত ও ১০জন আহত হয়েছে।
রুমা প্রতিনিধি, বান্দরবান।
সকাল সাড়ে ৮টায় কেওক্রাডং থেকে রুমারয় আসার পথে আধা মাইল দুরে টার্নিং পযেন্টে খাদে পড়ে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ওইসব পর্যটকেরা সবাই চাঁদের গাড়ি করে কেওক্রাডং থেকে রুমায় ফিরতেছিল।
নিহত দুইজনের নাম-
ফিরোজা বেগম (৫৩), বাড়ি- মাগুরা।
জয়নব (২৪), সে ঢাকায একটি বিশ্ব বিদ্যালয়ে মাষ্টার পরীক্ষার্থী।
আহতদের মধ্যে আন্জুমা হক(৩৫), বাড়ি-মাগুরা। তবে তিনি ঢাকায় থাকেন। তার নিজ বাড়ি- কুস্টিয়া। মোসাৎমদ রিজভী(৩৪), রাফাল (১১), তার মা রুপা(৪৩) তাহামিদা(২৩),
তাজনিন (২৪). আন্জুমান হক(৩৫), ইতু (১৬)- পিতা- হাবিবুল ইসলাম, বাড়ি- কুষ্টিয়া। স্বর্না (২৩),, বাড়ি- কুষ্টিয়া।
এই পর্যটক দলের একজন হলেন
চিকিৎসক মাজিলা হক(৩৯তম বিএসএস ক্যাডার)।
তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গা থেথে মোট ৫৭ জন তিনটি জীপ গাড়ি করে পর্যটন স্পট কেওক্রাডং থেকে বগালেকে ফিরছিলেন, তখন পথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার পিছনে গাড়িতে থাকা গাইড ও প্রত্যক্ষদর্শী সিয়ামথাং বম বলেন তাদের সামনে গাড়ি চালক খুব দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিল। দুর্গঘনার পর গাড়ি
চালক পলাতক রয়েছে এখন। আরেকজন গাইডের নাম মুনথাং বম। তিনি বলেন, মোট ৫৭জন পর্যটকের মধ্যে সকালে ৩৭জন জীপ গাড়ি করে ফিরছিল। আর বাকী বিশজনের সঙাগে সেও কেওক্রাডংয়ে থেকে যায়। সকালে যারা ফিরছিল, ওই গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনা শিকার হযেছে।
রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক ডা. শওকত উল ফেরদৌস বলেন, র্ঘটনার স্থলে দুইজন মারা গেছে। বাকী আতহ ১১জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন আহতদের সেবা দিতে ছাত্রলীগের ছেলেরাও এগিয়ে এসেছেন, তারা আহতদের গাড়িতে উঠানো- নামানো এবং হাসপাতাল ফ্লোরে রক্ত মুছা- ধুইয়ে ফেলা বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেছেন।
রুমা থানা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ মিদন মিয়া বলেন ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনা শিকার আহতদের এগিয়ে আসেন সেনাবাহিনী ও বিজিবি। তাদের এম্বুলেন্স গাড়ি করে আহতদের জেলা সদরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।