উল্লাপাড়া নাদা দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ভূয়া সনদ প্রদানের অভিযোগ
সাথী সুলতানা, স্টাফ রিপোটার ;
সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া উপজেলার নাদা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুল মজিদ খালেদা নামের একজন মেয়েকে অষ্টম শ্রেণীর ভূয়া সনদপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় চক হরিপুর গ্রামের মেয়ে খালেদাকে নাদা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুল মজিদ ১-১-২০০৬ ইং তারিখে অষ্টম শ্রেনীতে ভর্তি দেখিয়ে গত ৫-৩-২০১৯ ইং তারিখে অষ্টম শ্রেণী পাশ একটি ভুয়া সনদপত্র দেন ও গত ৭-১১-২০২৩ ইং তারিখে একটি প্রত্যয়নপত্র দেন। এবং এই ভুয়া সনদপত্র নিয়ে খালেদা সুজা দাখিল মাদ্রাসায় আয়া পদে চাকরি নেন। বিষয়টি নিয়ে সুজা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটির লোকমান ও আমির হোসেন সাবেক ইউপি সদস্য এবং একই পদে অনান্য চাকরির আবেদনকৃত প্রার্থীরা গোপন সুত্রে ভুয়া সনদপত্র এর বিষয় টি জানতে পেরে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে সুপার, আয়া,পরিচ্ছন্নতা কর্মি নিয়োগ দেওয়া নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগ এর ভিত্তিতে নাদা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুল মজিদ এর সাথে কথা বললে তিনি ভুয়া সনদপত্র এর বিষয় টি অস্বীকার করেন। এবং এই সনদপত্র টি প্রকৃতই ভুয়া নাকি সঠিক যাচাইয়ের জন্য সুপার আবদুল মজিদ এর নিকট কিছু তথ্য প্রমান চাইলে তিনি কোনো প্রমানপত্র দেখাতে পরেন নাই। এবং আরও বলেন রেজিস্ট্রার হারিয়ে গেছে, টিসি কোথায় আছে খুজে পাচ্ছি না -অনেক দিন আগের কাগজতো তাই এগুলো অডিট হওয়ার পরে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না। এদিকে সুপার আবদুল মজিদ এর স্বাক্ষর ও সিল এর কোন মিল না-থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার হাতের আঙ্গুলের সম্যসার কারনে স্বাক্ষর ঠিক হয়না আর আগের সিল হারিয়ে যাওয়ায় নতুন সিল বানানোর কারনে এ সম্যসা দেখা গেছে।
এদিকে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম শামসুল হককে মোবাইল ফোনে বলেন ভুয়া সনদপত্রের বিষয় টি আমার জানা নাই তবে এরকম ঘটনা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।