মোস্তাকিম রহমান, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় দু- একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (০৮ মে)
সকাল ০৮টার দিকে দুই উপজেলার ১৬৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ এনে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে।
এর আগে, জিএম সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা গণমাধ্যমকর্মীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং দৈনিক যুগান্তর ও মাছরাঙা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশসহ কয়েকজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে।
এছাড়াও তারা গণমাধ্যমকর্মীদেরকে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
এঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীরা এবিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার মো: কামাল হোসেনকে জানালে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ সাংবাদিকদের মাঠের পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষনা করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যসূত্রে জানা যায়, দুই উপজেলায় দুইজন চেয়াম্যান প্রার্থী, ১৫জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৭জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বিপরীতে এ দুই উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ জন।
ইতিমধ্যে সাঘাটা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম সামশীল আরেফিন টিটু। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন। তবে ফুলছড়ি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেট ভোট বর্জনের ঘোষনা দেয়ায় অপর প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বেসরকারী ভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দিন্তায় নির্বাচিত হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান,জিএম পারভেজ ভোট বর্জন করলে অপরজনকে বিজয়ী ঘোষনা করার নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বেসরকারী ভাবে আবু সাঈদ নির্বাচিত হয়েছেন।