তৌসিফ রেজা (বিশেষ প্রতিনিধি)
আচরণবিধি না মেনে নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা সরকারি স্থাপনা, মানুষের বাসাবাড়ির দেয়াল, দোকানের সাঁটার, বিদ্যুতের খুঁটিও লাগানো হয়েছে পোস্টার। এছাড়া তারা উচ্চস্বরে মাইকিং, মিছিল, মোটরসাইকেল মহড়াসহ বিভিন্ন ধরনের বিধিবহির্ভূত কাজ করছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবন, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার লাগানো নিষেধ। সরকারি স্থাপনাতেও পোস্টার লাগানো নিষেধ। তবে সৈয়দপুর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যে কারও কাছে কাগুজে দলিল বলেই মনে হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের ফটক এবং দেয়ালে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আজমল হোসেন সরকার ও মোস্তফা ফিরোজের পোস্টার লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামবাগ, রসুলপুর ও স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসতবাড়ির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে, বৈদ্যুতিক খুটিতে পোস্টার লাগানো দেখা গেছে।
অপর দিকে নির্বাচনী প্রচারে মিছিল নিষিদ্ধ থাকলের মানছেন না অনেক প্রার্থী। তারা নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল নিয়ে ঘুরছেন। আবার এই মিছিলের ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকের পাতায় পোস্ট দিচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে মহড়া করতে দেখা গেছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আজমল হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ যাদের পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব দেওয়া হিয়েছিল তারা হয়ত ভুলবশত তা লাগিয়েছে। দেয়ালের পোস্টারগুলো তুলে ফেলা হবে।’
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
উল্লেখ্য, সৈয়দপুর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়াম্যান পদে ৩ জন করে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।